যেই জিনিষের আধিক্য বেশি সেই জিনিস এর মূল্য ও কমে যায় , A+ প্রাপ্ত দের আসলে সেই তদ্রুপ অবস্থা । আসলে আমাদের পুরা শিক্ষাব্যবস্থাটি অর্থের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে । বড় বড় কর্তা ব্যক্তি দের যেমন সম্মান সূচক ডিগ্রি র অভাব হয় না , তেমনি টাকা থাকলে আপনার আর ডিগ্রি র অভাব হবে না বাংলাদেশ এ ।
মুরগী যতই ডিম পারুক , শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি মনে হয় রোধ করা গেলো না ।একের পর এক প্রশ্ন ফাঁস , সনদ বাণিজ্য এবং ডিমের আধিক্য (A+) সবই মনে হয় একই সূত্রে বাধা ।
প্রাগঐতিহাশসিক যুগে প্রশ্ন ফাঁস বলতে বুঝাত নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন ফাঁস । এর প্রথমেই ছিল বিসিএস , যা একটি দেশের প্রধান চালক দের পরীক্ষা । দল আসে দল যায় , কিন্তু এই আমলারাই দেশ কে চালায় , একটি দেশকে মেধাশুন্য করার এ এক উত্তম তরিকা ।
তারপর আসলো ভর্তি পরীক্ষা র প্রশ্ন ফাঁস , যেমন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিক্যাল কলেজ গুলির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ।
আর এখন শুরু হইসে এসএসসি , এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস শুধু নয় , জুনিয়র যত পরীক্ষা আছে সেগুলোর ও ।
আমার মনে হয় অচিরেই আমরা পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসাবে মাথা তুলে দাড়াতে পারব , কেননা আমরা যে ইতিহাস সৃষ্টি করছি তা পৃথিবীর অন্য কোন জাতির মধ্যে খুজে পাওয়া যাবে না । আমাদের ঘরে ঘরে ডিমের অভাব হবে না এবং আমাদের শিশু সন্তান গুলির মধ্যে কোন পুষ্টির অভাবও হবে না । (ভাই যাদের মুরগী র ফার্ম আছে অথবা রোজ সকালে যারা ডিম খাওয়ার প্রীতি আছে তারা মাইন্ড কইরেন না ) । যে জাতির শিক্ষা মন্ত্রী বলে , প্রশ্ন ফাঁশের প্রভাব পরীক্ষার রেজাল্ট এর পড়ে নাই , সেই জাতি কে বাহবা দেওয়াই যায় , হেইল টু বাঙালি জাতি ।
কিন্তু আপনি আমি কি ভেবে দেখেছি এই যে সর্বনাশা খেলা চলছে , তা আমাদের ধ্বংসের কোন প্রান্তে নিয়ে যাবে ?