অনেক দিন আগে “মেহেরজান “ ছবিটি দেখেছিলাম ইন্ডিয়ান আমেরিকান ফিল্ম ফেস্টিভেলে। কিন্তুু গতকাল ছবির সহকারি পরিচালকে (ফারজানা ববি) বলতে শুনলাম মুষ্টিমেয় কিছু লোকের কারনে বাংলাদেশে ছবিটি ব্যন্ড করা হয়েছে। সামান্যতম বিবেকবান হলেও তিনি এমন মন্তব্য করতেন না।প্রথমত ছবিটি পুরোপুরি এবাদুর রহমান এর ”গুলমোহর রিপাবলিক” উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত কিন্তুু ছবির পরিচালক চিএনাট্যে তা উল্লেখ করেননি, তাই আমার মতে এখানে পুরোপুরি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আমি শিল্প খুব বেশি বুঝিনা, তারপরও ছবিটি সর্ম্পকে কিছু না লিখলে নিজের কাছে দায়বন্ধ থাকব তাই লিখছি।আমার কাছে মনে হয়েছে ছবিটির উদ্দেশ্যই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আক্রমন করা। মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ সর্স্পকে একটি ভুল ধারনা তৈরি করা।ছবিটি দেখে মনে হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান এর মধ্যে ভাতৃপ্রতিম সর্ম্পক ছিল এবং ছবিতে মুক্তিযুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার না করে শুধু যুদ্ধ শব্দ ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা হয়েছে। এরকম একটি ছবি শুধুমাত্র রাজাকারদের দ্বারাই নির্মান করা সম্ভব।মনে হচেছ আওয়ামী লীগ সরকার নয় মুসলীম লীগ সরকারই এরকম চলচ্চিত্র অনুমোদন দিতে পারে। চলচ্চিত্রটির সবচে খারাপ দিকটি আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে মুক্তিযুদ্ধের রেপকে কনডেম না করে গ্লোরিফাই করা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটিতে মুক্তিযুদ্ধকে বলা হয়েছে “সেপারেটিস্ট ওয়ার “ আমরা মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের যে ধারনাকে ঠিক মনে করি তাতে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।মনে প্রশ্ন জেগেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সত্যটা কি ? ছবিতে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান পরস্পরের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। তার মানে কি পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের কোন শোষন করেনি মুক্তিযুদ্ধ বলে কিছু নেই এটি একটি সেপারেটিস্ট ওয়ার ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৬