কয়েকদিন আগে পত্রিকায় লিড নিউজ দিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সি সি টি ভির দুটি ছোট ভিডিও ভাইরাল হল । ওখানে জেলখানার সদর দরজায় একজন মহিলা এক রুম থেকে আরেক রুমে যাচ্ছে । রুমগুলো সাব জেলার ও কর্মকর্তাদের বলা হচ্ছে । বাকি বিষয় ছাপার অক্ষরে এসেছে । মহিলা কোন রুমে কার সাথে কয় মিনিট সময় কাটিয়েছে তার বর্ণনা দেয়া আছে । এখানে জেলের আসামি সুবিখ্যাত হল মার্কের জেনারেল ম্যানেজারকে বেশ সক্রিয় দেখা গেল । জেলখানায় বিশেষ করে কাশিমপুর জেলে কয়েদি মহিলাদের যৌন কর্মে ব্যাবহারের অভিযোগ আগেই উঠেছে । সাবেক এক প্রধান বিচারপতি যোগদানের পরই এই অভিযোগ তদন্ত করতে জেলখানায় যেতে চেয়েছিলেন । অদৃশ্য নির্দেশে তার ভ্রমন বাতিল হয়েছিল । জেলখানার মহিলা কয়েদি মুক্তি পেল তবে কোলে একটি শিশু । এরকম অসংখ্য খবর আমরা পড়ে থাকি । কিন্তু কেন এবং কিভাবে তা সম্ভব হয়েছে তা গলা টিপে বন্ধ রাখা হয় । জেলখানায় শাস্তিপ্রাপ্ত কয়েদিরা দীর্ঘ সময় থাকেন । আমাদের জেল কোডে কয়েদিদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর কোন ব্যাবস্থা নেই । যাদের টাকার পাহাড় আছে তারা একটা বন্দোবস্ত করে নেন । সাধারন কয়েদিরা আপসে সমলিংগ বা হস্তমৈথুন করে স্বাদ মেটান । কাশিমপুর জেলখানার ঘটে যাওয়া ঘটনা চাপা পড়ে গেছে । পতিতা ব্যাবহারের বিষয় জেল কোডে সংযুক্ত করা যায় , এটা আমার একান্ত ভাবনা । সম্ভবত ফুটেজ সরবরাহকারি এরকম ভেবে ছড়িয়ে দিয়েছেন যে একটা পরিবর্তন আসুক । যাদের টাকা আছে তারা মাসে , ছয়মাসে বিশেষ ব্যাবস্থায় জৈবিক চাহিদা পূর্ণ করবেন ।
এক লোক ১৮ বছর জেল খেটে মুক্তি পেল । কিন্তু প্রথম রাতেই স্ত্রী সম্ভোগে সে ব্যার্থ হল । খুব দুঃখজনক ঘটনা বটে । দীর্ঘ জেল খাটা মানুষের সমকামিতায় গ্রাস করে । এটি আরেক ধরনের অসুখ । এমনকি বিবাহিত কয়েদীদের ব্যাবস্থা থাকা উচিত নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনের । কিন্তু মহিলা কয়েদীদের জন্য কিই বা উপদেশ দেব কারন তাদের জন্য আছে আছে জেলখানার প্রহরীরা । মাদ্রাসার হুজুরদের মত তারাও লিস্ট করে কে কার ভাগে পড়বে । কিন্তু শিশুদের কি হবে ?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩