অনেকগুলো সন্ধি কচ্ছপ বস্তাবন্দী অবস্থায় মংলা বন্দরের কাছেই দিগরাজের একটি বাড়িতে পাওয়া গেছে । এরকম ছোপ দেওয়া কচ্ছপ আগে দেখিনি । এগুলো মিঠা পানির কচ্ছপ । আমি অহরহ ডুমুরিয়া কৈয়া বাজার অতিক্রম করার সময় কচ্ছপের মাংস বিক্রি হতে দেখতাম । খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেও বাসায় কি বলবে এই ভেবে নেইনি । খুলনা এলাকায় কচ্ছপকে কাঠা বলে । এবারের বন বিভাগ যে ৭৩ পিস বাচ্চা কচ্ছপ ধরেছে তা বিরল জাত ভুক্ত । গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার এক লোক ওইসব এলাকা থেকে কচ্ছপ সংগ্রহ করে দিগরাজে এনেছিল । দিগরাজ মাছ , কাঁকড়া , চিংড়ি ইত্যাদির পাইকার হাট । আরেকটি সম্ভাবনা এখান থেকেই ঢাকা এয়ারপোর্টে কাঁকড়া , কচ্ছপ যায় রফতানি পন্য হিসাবে । চীনারা খুব পছন্দ করে কচ্ছপ এবং এ কারনে চীন কচ্ছপ শুন্য । এই ভোক্তা জাতি খেতে খেতে বাদুড় খেতে গিয়ে করোনা বিপত্তি ঘটিয়েছে যার কারনে সারা পৃথিবী এখন অবরুদ্ধ । বন বিভাগ সম্ভবত এই পাচার বিষয় আমলে আনেনি বলেই মনোজ বাবুকে ২০০০ টাকা ফাইন করে ছেড়ে দিয়েছে । মিষ্টি পানির জীব বলে তারা এটিকে সুন্দরবনের করমজলের পুকুরে ছাড়েনি । বুদ্ধি করে বাগেরহাটের খানজাহান আলী দরগার দীঘিতে কিছু আর অদুরেই ষাট গম্বুজ মসজিদের পুকুরে বাকিগুলো ছেড়ে দিয়েছে । একটি চমৎকার কাজ করেছে সরকারী লোকজন । বর্তমানে বন্যপ্রাণী আইনে কচ্ছপ বিষয়ে কি আছে জানিনা তবে সবধরনের কচ্ছপ ভক্ষন নিষিদ্ধ করা উচিত । আমি সন্ধি শব্দের অর্থ খুজে পাইনি , কেউ পেলে মন্তব্যে জানিয়ে দেবেন ।
ছবিঃসমকাল, বাংলা নিউজ ২৪, একুশে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৯