

বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হয় শহরে কম গ্রামেই বেশি । আজ সকালে নাস্তা খাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলাম করল্লা আছে কি ফ্রিজে কারন এটা আমার নিয়মিত খাবার । আজ সংক্রান্তিতে তেতো খাবো , কন্যা আমায় এসব উদ্ভট বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামানোর উপদেশ দিয়ে আপিস গেল। আমি সবসময় করল্লা,মেথি শাক বা তেতো কিছু দিয়ে সংক্রান্তি উদযাপন করি একাই । কাল বৈশাখে কোথাও যাওয়া হবে না কিন্তু মিষ্টি খাওয়া হবে । প্রথম ১৯৭৭ সালে ময়মনসিংহ গেছি তিন পাগল সাইকেল নিয়ে টাঙ্গাইল , জামালপুর হয়ে চৈত্রের দাবদাহের মধ্যে । তারুন্য কোন বাধাকেই বাঁধা মনে করে না , আমরাও তাই । তো ময়মনসিংহে বিউটি আপার বাসায় , একদম ব্রহ্মপুত্র নদীর কিনারে খুঁটির অপর ঝুলন বাড়ি , তক্তার মেঝেতে তেতো খেতে খেতে জেনে নিলাম আজ চৈত্র সংক্রান্তি , তেতো খেয়ে পুরাতন বছরের যত অন্যায় অবিচার শোধ বোধ করে কাল বৈশাখের দিন রসগোল্লা , পানতোয়া দিয়ে নতুন বছরের আবাহন হবে । বাংলার সংস্কৃতিতে এরকম অজস্র দিন আছে পালনের কিন্তু ধর্মীয় কারনে সবাই সব কিছু পালন করেন না , জাত যাবে বলে । মেথি শাক উজ্জ্বল হয়ে উঠল তার গুনে মানে । বাড়িতে মা প্রায় সময়ে মেথি খেতেন , বাবাও । আমরা ছুয়েও দেখতাম না । বিউটি আপার বাসায় বেশ খেলাম ,সময় কাটালাম । এরপর আমিই উদ্যোগী হয়ে সংক্রান্তি পালন করতাম , বোশেখের প্রথম দিনে আমার স্ত্রী খিচুড়ি ইলিশ করতেন , অনেককে দাওয়াত করতেন । এখন হয়না ঘর ফাকা হয়ে গেছে বলে । তেতোর অনেক উপকার আছে ।মেথির প্রাকৃতিক উপাদান যা শরীর সুস্থ রাখে। মেথি শাকের গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই শাক তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে৷ হতাশা কাটাতে ও ডায়বেটিসের জন্য মেথি শাক খুব উপকারি ৷করলা বা উচ্ছে, কালমেঘ, চিরতা, নিম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। হজমতন্ত্র ভাল থাকে, ত্বকের রোগ হয় না, কৃমি দূর করে৷ তেতো অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ভাইরাল গুণসমৃদ্ধ। চিরতা এবং নিমের পাতায় অ্যান্টি ক্যানসারাস গুণও রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




