আষাঢ় শেষ , শাওনের মধ্যপথে কি যে দাহ আজ কারে বোঝাই , কি ভাবে বোঝাই । আজ দুপুরের পর একটা দাহ বিতরন করে গেল শাওন , নির্লজ্জ , বেহায়া । একটা টিনের চালায় বৃষ্টির ধারা ছবি সেভ করে প্রস্তুতি নিলাম ক্ষোভটুকু উগরে দেব সামুতে । কন্যা রান্না ঘর থেকে আওয়াজ দিলো রুটি তাওয়ায় , ইনসুলিন নাও । উঠেই মনে হল রান্নাঘরের দরজা দিয়ে হু হু শীতল হাওয়া । খুশী হয়ে গেলাম দুজন । জামাই গেছে বাইক চালাতে , ও থাকলে আনন্দটা ভাগ করে নিত । পাশের বাড়ির ছাদ ফ্যাক্টরির টিন দিয়ে ছাওয়া । ওটার ওপর ঝম ঝম নৃত্য শুরু হলে বাপ বেটি এক পাক নেচে নিলাম আনন্দে । আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি , এখনো ঝরছে । বৃষ্টিতে গ্রামের কাঁদা মাখানো রাস্তায় হেঁটেছি টানা ১৪ মাইল । সারা শরীর ভিজে চপচপ করে , হু কেয়ারস ? আমি আর ভাইপো চলতে থাকলাম খালাবাড়ি অবধি । ওদের টিনের চালা । সারা রাত বৃষ্টি ঝরেছে আর আমি ১৮র প্রাক যৌবনে কবিতা বুনেছি লাগাতার কাথায় ঢেকে একটা অতৃপ্ত উত্থান নিয়ে । শহরে এই বাড়িতে এইটাই বোনাস , টিনের চালে বৃষ্টি নৃত্য । ভদ্র লোককে ধন্যবাদ তার বাড়ির চারদিক ছেড়ে দিয়ে নারিকেল , সুপারি আর বিবিধ বাগান করেছে । উনি হাজার স্কয়ার ফিটে চার ১৫ ষাট হাজার টাকা পেতেন , কিন্তু লোভ তাকে টলাতে পারেনি , অদম্য বীর পুরুষ । চারিদিকে এক ইঞ্চি না ছাড়া জমিদারদের একহাত দেখিয়ে দিয়েছেন পরিবেশ প্রেমী এই বীর পুরুষ ।
তাকে দেখিনি বা সুযোগ হয়নি । একদিন দেখা হলে ধন্যবাদ দেব ।
যাক কিছুটা শীতল হয়েছে বাতাস , রাতে ভাল ঘুমের আশায় ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৬