
রাজধানীর প্রায় সর্বত্রই ভয়াবগ আকার ধারণ করেছে ছিনতাই। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি, বস্তি এলাকা থেকে অভিজাত পাড়া-সব জায়গায় ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ায় আতঙ্কে নগরবাসী। পথচারীদের রাস্তা আটকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যেমন ছিনতাই হচ্ছে, তেমনি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলেও ছিনতাইকারীরা হামলে পড়ছে নিরীহ মানুষের ওপর। গত কয়েক মাসে ছিনতাইকারীদের হামলায় বেশ কয়েকটি হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। মোহাম্মপুরে সম্প্রতি একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। পাশাপাশি কারাগারে থাকা অপরাধীরা জামিনে এসে ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। তবে ছিনতাইয়ের প্রকৃত ঘটনার তুলনায় থানায় মামলার সংখ্যা কয়েকগুণ কম। মামলা নিতে অনীহা, আবার কখনো ঝামেলা এড়াতে পুলিশের দ্বারস্থ না হওয়াই এর বড় কারণ। ছিনতাই বন্ধে মোহাম্মদপুরে রাস্তায় নেমে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে পুলিশি টহল জোরদার ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অপরাধ বিশেজ্ঞরা।
রাজধানীতে ছয় হাজার ১৯৮ জন ছিনতাই ও ডাকাতিতে জড়িত। ছিনতাইয়ের হটস্পটের তালিকায় রয়েছে শাহবাগ, রমনা, মতিঝিল, খিলগাঁও, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, ভাটারা, শেরেবাংলা নগর, কলাবাগান, রামপুরা, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, উত্তরা পশ্চিম ও পল্লবী এলাকা। এছাড়া পান্থপথ, টিএসসি, কাওরান বাজার, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও রেলস্টেশন ছিনতাইয়ের অন্যতম হটস্পট। বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনগুলোও ছিনতাইয়ের হটস্পট।
আপনাদের উপদেশ দিয়ে কোন লাভ নেই বরং আইন শৃঙ্খলা বাহিনিকে আরও একটিভ হওয়ার জন্য বলব ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


