পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের নির্মম শোষণ, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের লড়াইয়ে এই আইকনিক স্লোগানটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছিল।
এই স্লোগান বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে, যার ফলে আজ আমরা গর্বভরে দেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছি।
'জয় বাংলা' ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে জনসাধারণের স্লোগানে পরিণত হয়েছিল এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়িয়েছে।
১৯৬৯ সালে খুলনা জিলা স্কুলে বিশাল মিছিল এলো আমাদের নিয়ে মিছিলে যাবে বলে । আমার আবার এসবে দারুন ঝোঁক ছিল । মিছিলে গগন বিদারী আওয়াজ উঠলো জ য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় বাংলা । ঐ শুরু জয়বাংলা দিয়ে শ্লোগানে উত্তাল হওয়া । মিছিলটি ছিল ছাত্র ইউনিয়নের ।
১৯২২ সালে ভারতে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে যখন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তুঙ্গে, তখন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম 'পূর্ণ অভিনন্দন' কবিতায় এই শব্দগুলো লিখেছিলেন।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে জেলে থাকার সময় এটি লিখেছিলেন।
কবিতার বিষয়বস্তু ছিল ঔপনিবেশিকতা, বিদেশি নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং 'জয় বাংলা' শব্দগুলো কিছুটা ভিন্নভাবে ব্যবহার করা হলেও পঞ্চম স্তবকে উপস্থিত হয়েছে, 'জয় বাংলার পূর্ণচন্দ্র, জয় জয় আদি -অন্তরীণ! জয় যুগে-যুগে-আসা-সেনাপতি, জয় প্রাণ আদি-অন্তহীন!'
কবিতাটি ব্রিটিশ বিরোধী বীর পূর্ণচন্দ্র দাসকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। তিনি ছিলেন মাদারীপুরের একজন স্কুল শিক্ষক এবং কারাগারে নজরুলের সহবন্দী।
পূর্ণচন্দ্র বহরমপুর জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার মুক্তি উপলক্ষে মাদারীপুরে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সেখানে পূর্ণচন্দ্র সম্পর্কে কিছু লেখার জন্য কাজী নজরুলকে অনুরোধ করেন কালিপদ রায়চৌধুরী। কালিপদও কাজী নজরুলের সঙ্গে কারাবন্দী ছিলেন।
কবিতাটি পরে ১৯২৪ সালে তার কাব্যগ্রন্থ 'ভাঙার গান'-এ প্রকাশিত হয়।
আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রথম জানলাম শব্দ দুটি কাজি নজরুল ইসলামের রচনায় উল্লেখিত ।
যাই হোক জয়বাংলা নিয়ে ইউনুস সাহেবের এতো বেদনা কেন জানিনে । ৭১ সালে এক এবং একটি শ্লোগান ছিল জয়বাংলা ।
আমি গতকাল রায় হবার পরে উচু গলায় জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েছি চায়ের দোকানে । একদুজন একটু আপত্তি করলে আমি বলেছি কি করবে ওরা আমায় ? সরকারি উচ্চারনে নিষিদ্ধ কিন্তু ব্যাক্তি উচ্চারনে সিদ্ধ । ইউনুস একধাপ নেমে গেলেন আমার মানদণ্ড থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭