somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ডাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয়ের পিছনে কারণ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্লেষকরা মনে করেন, শিবির তার দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক কৌশল এবং ইস্যু নির্ধারণে সঠিক অবস্থানে থfকায় এই ফল পেয়েছে এবং তাদের আর্থিক সক্ষমতাও বেশি৷ডাকসুতে বাংলাদেশ ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জয়ে বিস্মিত নন বিশ্লেষকরা। বরং তারা মনে করেন, শিবির তার দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক কৌশল এবং ইস্যু নির্ধারণে সঠিক অবস্থানে থfকায় এই ফল পেয়েছে এবং তাদের আর্থিক সক্ষমতাও বেশি৷

এবারের ডাকসু নির্বাচনে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী ছিলো। ফলে নির্বাচন ছিলো ব্যাপক বৈচিত্র্যময়। সন্ত্রাস দমন আইনে নিষিদ্ধ থাকায় ছাত্রলীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। তবে তাদের সমর্থক ভোটাররা ছিলেন, যা নিয়েকোনো কোনো প্রার্থীকথাও বলেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইমলামী ছাত্র শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামপন্থি সাতটি ছাত্রসংগঠনের প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদ, এনসিপির ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ আরো অনেক দলের প্যানেল ছিলো এবারের ডাকসু নির্বাচনে। ২০২৪-এর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র ডাকসুর ফলাফল

নির্বাচনে ডাকসুর ভিপি, জিএস এবং এজিএসসহ প্রায় সব পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে।হল সংসদগুলোতেও তাদের জয় জয়কার। আর কেন্দ্রীয় সংসদে তাদের জয় বিশাল ভোটের ব্যবধানে। ভিপি পদে ছাত্র শিবিরের আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পাঁচ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। জিএস পদে ছাত্র শিবিরের এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ছাত্রদলের তানভীর বারী হামিম। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৮৩ ভোট। এজিএস পদে শিবিরের মুহা. মহিউদ্দিন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ছাত্রদলের তানভীর আল হাদী মায়েদ। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৪ ভোট। ডাকসুতে ১২টি সম্পাদকীয় পদসসহ মোট পদ ২৮টি। এর মধ্যে তিনটি বাদে আর সব পদেই তাদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

বিশ্লেষকদের বক্তব্য

জাহাঙ্গীরনগর শ্বিবিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. স্নিগ্ধা রেজওয়ানা বলেন," আমি মনে করি না ডাকসুতে শিবিরের এই জয় কোনো আকস্মিক ঘটনা বা হঠাৎ করে হয়েছে। এটা আসলে অনুমান করা যাচ্ছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০-১৫ বছরে তাদের প্রভাব এবং অবস্থান অনেক বেড়েছে। এর একটা কারণ হলো ২০১০-১১ সালের দিকে তখনকার সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনক্লুশনের নামে ১০-২০ ভাগ ছাত্র মাদ্রাসা থেকে নেয়ার নির্দেশনা দেয়। ফলে এই সময়ে বিপুল পরিমাণ মাদ্রাসার ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরেছে। আর ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি আধুনিক নয়। মুখস্থ নির্ভর পরীক্ষা পদ্ধতি হতে পারে না। এই পরীক্ষা পদ্ধতিও তাদের সুযোগ করে দিয়েছে। এটা মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে ঘটেছে।”

"আরেকটি বিষয় হলো নানাভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে, পর্দা, হিজাব বা বুরখাকে সামনে এনে একটা সাংষর্ষিক মনোভাব তৈরি করা হয়েছে। বায়োমেট্রিকের কথা বলা হয়। এটা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা পলিটিক্যাল ইস্যু তৈরি করা হয়। আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ইস্যু ছিল না। এটা ছিলো দেশের বৃহত্তর পরিসরে। বিগত সরকার আবার এই ইস্যুতে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। এটাকে সে পুঁজি করার চেষ্টা করে। এইসব বিষয়গুলো দক্ষিণপন্থিদের উত্থানের চিন্তা থেকে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়। ফলে সেখান থেকেই এখন ডাকসুতে যা হয়েছে তা হওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়,” বলেন তিনি।

তিনি বলেন," প্রকাশ্যে বা পরিচয় গোপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের মতো সংগঠিত আর কোনো ছাত্রসংঠন নাই। ছাত্রদল না, ছাত্রলীগ তো নই, বামপন্থিরা তো ১৪ ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। শিবির তার সংগন ছাড়াও অন্য সংগঠনে আছে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনে আছে। প্রকাশ্য এবং গোপন নেটওয়ার্ক তাদের অনেক বড়, তারা সহজেই সাধারণ ইস্যু তৈরি করতে পারে। ট্যাগিং করতে পারে। ফলে ডাকসুতে যে শিবিরের উত্থান হবে এটা অনুমেয় ছিলো। যারা এটা ভাবতে পারেন নি তাদের চিন্তার গভীরতার স্বল্পতা ছিলো।”

তার মতে ," ডাকসুতে শিবিরের এই জয়ের তো অবশ্যই প্রভাব এবং ফলাফল আছে। এর প্রথম বিষয়টি হচ্ছে যে শিবির তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতহাসে এবারই প্রকাশ্যে বড় কোনো সফলতা পেল। গোপন সফলতা তাদের অনেক আছে। কিন্তু এর ফলে প্রথমত, যে প্রচারণার মাধ্যমে শিবির ডাকসুতে জিতেছে, একই ধরনের প্রচারণা যে জাতীয় নির্বাচনে হবে না তা কিন্তু বলা যায় না। আর আরেকটি বিষয় হল দেশে একটি সাংস্কৃতিক লড়াই শুরু হয়ে গেছে। যারা এখানো বিচ্ছিন্নভাবে লড়াই করছেন তাদের এক হওয়ার একটা প্রেক্ষাপট এই ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।”





ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘‘এবারের ডাকসু নির্বাচনে আর যারা ছিলো তারা একটি অ্যান্টি-শিবির ন্যারেটিভ তৈরি করে প্রচার চালিয়েছে। একদিকে শিবির, আরেক দিকে অ্যান্টি-শিবির। কিন্তু এই অ্যান্টি-শিবির ন্যারেটিভ যারা তৈরি করেছে তারা বহু প্যানেলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। শিবির ডাকসুকে দেখেছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসাবে। ওই ক্যানভাসটা তারা ব্যবহার করেছে। আর আবিদ-মেঘমল্লাররা বলেছে শিবির হলো স্বাধীনতাবিরোধী এদেরকে ভোট দেবেন না। এরা স্বাধীনতাবিরোধী এদের ভোট দেবেন না-প্রার্থীদের ব্যাপারে এই সরাসরি ভোট না দেয়ার আহ্বান ভোটাররা নেননি। এখানে ন্যারেটিভের একটা খেলা হয়েছে। অন্যরা ২৪-এর ক্যানভাসটি কাজে লাগাতে পারেনি। আর প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে কৌশল নির্ধারণে শিবির এগিয়ে ছিলো। তারা ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছে। সংগঠনটির অর্থও আছে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের দীর্ঘদিনের কৌশল পরিকল্পনার ফল তারা পেয়েছে। আর শিবির , ছাত্রদল দীঘদিন নির্যাতন , অবদমনের শিকার হয়েছে। তার কারণে সহানুভূতি পেয়েছে। কিন্তু শিবির ওই সময়ে বসে থাকেনি। তারা নানা কৌশলে ছাত্রদের মধ্যে কাজ করেছে, ভিন্নভাবে সংগঠনকে বিস্তৃত করেছে, শক্তিশালী করেছে।''

তিনি আরও বলেন," ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এর আগে প্রকাশ্য কাজ না থাকায় সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে কোনো নেগেটিভ প্রচার করা কঠিন ছিলো। কিন্তু ২০০২ সালে শামনুন্নাহার হলে যে ছাত্রদল হামলা চালিয়ে ছিলো, ছাত্রীদের মধ্যে এটা কিন্তু এবার ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে।”

দক্ষিণপন্থিদের উত্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন," এটা তো স্পষ্ট যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান হয়েছে। কিন্তু এখন দেখার বিষয় তারা কি করে? এটা কিন্তু বিএনপির জন্য একটা ওয়েক আপ কল। ১৯৯১ সালে সবাই মনে করেছিলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গেছে। কিন্তু নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এখানো কিন্তু মনে করা হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আর ডাকসুর ইতিহাস হলো যারা সরকারে থাকে ডাকসুতে তাদের বিরুদ্ধে রায় যায়। অতীতে বামপন্থিরা ডাকসুতে ভালো করেছে। ২০১৯ সালে নূর ভিপি হয়।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘‘এবারের ডাকসু নির্বাচনে আর যারা ছিলো তারা একটি অ্যান্টি-শিবির ন্যারেটিভ তৈরি করে প্রচার চালিয়েছে। একদিকে শিবির, আরেক দিকে অ্যান্টি-শিবির। কিন্তু এই অ্যান্টি-শিবির ন্যারেটিভ যারা তৈরি করেছে তারা বহু প্যানেলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। শিবির ডাকসুকে দেখেছে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসাবে। ওই ক্যানভাসটা তারা ব্যবহার করেছে। আর আবিদ-মেঘমল্লাররা বলেছে শিবির হলো স্বাধীনতাবিরোধী এদেরকে ভোট দেবেন না। এরা স্বাধীনতাবিরোধী এদের ভোট দেবেন না-প্রার্থীদের ব্যাপারে এই সরাসরি ভোট না দেয়ার আহ্বান ভোটাররা নেননি। এখানে ন্যারেটিভের একটা খেলা হয়েছে। অন্যরা ২৪-এর ক্যানভাসটি কাজে লাগাতে পারেনি। আর প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে কৌশল নির্ধারণে শিবির এগিয়ে ছিলো। তারা ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছে। সংগঠনটির অর্থও আছে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের দীর্ঘদিনের কৌশল পরিকল্পনার ফল তারা পেয়েছে। আর শিবির , ছাত্রদল দীঘদিন নির্যাতন , অবদমনের শিকার হয়েছে। তার কারণে সহানুভূতি পেয়েছে। কিন্তু শিবির ওই সময়ে বসে থাকেনি। তারা নানা কৌশলে ছাত্রদের মধ্যে কাজ করেছে, ভিন্নভাবে সংগঠনকে বিস্তৃত করেছে, শক্তিশালী করেছে।''

তিনি আরও বলেন," ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এর আগে প্রকাশ্য কাজ না থাকায় সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে কোনো নেগেটিভ প্রচার করা কঠিন ছিলো। কিন্তু ২০০২ সালে শামনুন্নাহার হলে যে ছাত্রদল হামলা চালিয়ে ছিলো, ছাত্রীদের মধ্যে এটা কিন্তু এবার ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে।”

দক্ষিণপন্থিদের উত্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন," এটা তো স্পষ্ট যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান হয়েছে। কিন্তু এখন দেখার বিষয় তারা কি করে? এটা কিন্তু বিএনপির জন্য একটা ওয়েক আপ কল। ১৯৯১ সালে সবাই মনে করেছিলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গেছে। কিন্তু নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এখানো কিন্তু মনে করা হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আর ডাকসুর ইতিহাস হলো যারা সরকারে থাকে ডাকসুতে তাদের বিরুদ্ধে রায় যায়। অতীতে বামপন্থিরা ডাকসুতে ভালো করেছে। ২০১৯ সালে নূর ভিপি হয়।” ছিলো, ছাত্রীদের মধ্যে এটা কিন্তু এবার ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে।”

দক্ষিণপন্থিদের উত্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন," এটা তো স্পষ্ট যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান হয়েছে। কিন্তু এখন দেখার বিষয় তারা কি করে? এটা কিন্তু বিএনপির জন্য একটা ওয়েক আপ কল। ১৯৯১ সালে সবাই মনে করেছিলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গেছে। কিন্তু নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এখানো কিন্তু মনে করা হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আর ডাকসুর ইতিহাস হলো যারা সরকারে থাকে ডাকসুতে তাদের বিরুদ্ধে রায় যায়। অতীতে বামপন্থিরা ডাকসুতে ভালো করেছে। ২০১৯ সালে নূর ভিপি হয়।” ডাকসুর সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন মনে করেন," শিবিরকে যারা ভোট দিয়েছেন তারা যে সবাই শিবিরের আদর্শ চিন্তা করে ভোট দিয়েছেন তা নয়, তারা ক্যাম্পাসে দখলদারীর ছাত্র রাজনীতির আশঙ্কা থেকে ভোট দিয়েছেন। কারণ তারা অতীতে অনেক ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্বের রাজনীতি দেখেছেন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই বিবেচনায় শিবিরের রেকর্ড নাই। আর ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তাদের বড় একটা ভূমিকা ছিলো। আর শিবিরের বিরুদ্ধে যে ছাত্র সংগঠনগুলো ছিলো তাদের পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব ছিলো। এটাও শিবিরকে সুযোগ করে দিয়েছে। ”

"তবে শিবির যত বেশি ভোট পেয়েই জয়ী হোক না কেন তারা ক্যাস্পসে যদি মুক্তিযুদ্ধেরবিরোধী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায়, রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা চায়, তাহলে এই ছাত্ররাই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তারা এক পাও এগোতে পারবে না,” বলে মনে করেন তিনি।
সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামালের মতেও ছাত্ররা নিবর্তনমূলক ছাত্ররাজনীতি ফের ফিরে আসার আশঙ্কা থেকে শিবিরকে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন," তারা মনে করেছে ছাত্রদল জিতলে তারা ছাত্রলীগের মতোই ক্যাম্পাসে আধিপত্য ও দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। গেস্টরুম কালচার তৈরি করবে। সাধারণ ছাত্ররা নির্যাতনের শিকার হবে। সেই বিবেচনায় ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের ইমেজ ভালো ছিলো। আর ছাত্রদলের মধ্যে একট দম্ভ, হামবাড়া ভাব চলে এসেছে। যা ছাত্ররা খেয়াল করেছে। ছাত্রদল জিতলে তারাও ওই রকম হবে। তারও একটা জবাব দিয়েছে তারা।”

"আরেকট বিষয় হলো, ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে, তাদের ওপর যত হামলা নির্যাতন হয়েছে তা কারা করেছ? বিএনপি করেছে। ছাত্রদল, যুবদল করেছে। তাদের সন্তানরা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। আর নিষিদ্ধ হলেও ছাত্রলীগের ভোটারও তো আছে। শুধুমাত্র জগন্নাথ হল ছাড়া অন্য হলের ছাত্রলীগের ভোট শিবিরের বাক্সে গেছে বলে আমি মনে করি। মেয়েদের হলের ভোট দেখেও তাই মনে হয়েছে। তারা মনে করেছে শিবির তাদের জন্য নিরাপদ। ছাত্রদল ডাকসুতে আসলে তাদের ওপর নির্যাতন হবে। তবে সংখ্যালঘু ভোটাররা শিবিরকে তাদের জন্য নিরাপদ মনে করেনি, জগন্নাথ হলের ভোট তার প্রমাণ,” অভিমত তার।আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার মনে করেন," আসলে ছাত্রদের অধিকারকে গুরুত্ব না দিয়ে পুরনো রাজনীতিতে থাকার কারণেই ছাত্রদল পারেনি। আর শিবির ছাত্রদের অধিকারকেসামনে এনেছে। ” তার কথা," ছাত্রশিবির দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদের কলাণে কাজ করেছে, কোচিং সেন্টার চালিয়েছে, মেস চালিয়েছে। ছাত্রদের নানাভাবে সহায়তা করেছে। ফলে তাদের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের কথা ছাত্রদের মাথায় থাকেনি। তারা তাদের কল্যাণকর বিবেচনা করেছে। তারা তার ফল পেয়েছে। আর এখান থেকে তরুণরা কেমন নেতা চায় তাও বোঝা গেছে। সেটার একটা আকাঙ্খা জাতীয় রাজনীতিতে থাকবে। সামনে জাকসু, রাকসু, চাকসুসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও এর প্রতিফলন দেখা যেতে পারে।”

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৩
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×