ব্লগ দিবসে সবচেয় বড় আর্কষণ, নায়ক বাবু, যে ড্যান্স বাবু দিয়েছেন তা ব্লগারদের বহুদিন মনে থাকবে।
(ছবি-লিলিয়ান আপুর ফেসবুক থেকে)
কবিতা একজন কবির কাছে সন্তানতুল্য, (আমি নিজেকে কবি বলছি বলে কেউ হাসবেন না, কটু কথা বলবেন না, দুঃখ পাবো, খুব বেশি হাসি পেলে একটু মুচকি হাসি দেন, এতে দুকুল রক্ষে হবে)
সামু সেরা সন্তান প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল, আমি আমার খুব আদরে গড়া একটি সন্তান পাঠিয়েছিলাম, ভালবাসার বৃষ্টি নামিয়ে খুব যতনে গড়েছিলাম তার অবয়ব, যাতে সে নির্ভয়ে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে পারে তাই তার দেহে স্রষ্টার কথাগুচ্ছ এঁকে দিয়েছিলাম, সাহস যোগাতে উপদেশে বলেছিলাম-" এই পৃথিবী সাহসীদের জন্য, ভীতুদের জন্য নয়"। আমার সন্তান যতবার আমার আঙিনায় হেঁটেছে ততবার আমার আত্নবিশ্বাস থার্মোমিটারের পারদের মত লাফিয়ে লাফিয়ে উপরে উঠেছে, এক ভয়ংকর আত্নবিশ্বাসে ডুবে গিয়েছিলাম আমি, স্থির ধারণা জন্মেছিল আমার সন্তান প্রস্ফুটিত হবে। আলোয় রেখায় দেখা যাবে তার সদ্য জন্ম নেওয়া দেহ, কাঁচা কালির গন্ধে আমি বিমোহতি হবো, উঁচুশির করে সবাইকে বলবো- আমার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখেছে, সে হাসছে, আমি ভীষণ খুশি, আমি গর্বিত বাবা।
স্বপ্ন আর বাস্তবতা অনেক অমিল, কখনো দু'জনের দুরত্ব আলোকবর্ষ দুরত্বের মত মনে হয়, অনেক বিষয়গুলিকে বিশ্বাস করতে মন সায় না দিলেও বিশ্বাস করতে হয়, অনেক সময় হাসিমুখে বলতে হয়- সবই ঠিক আছে, (উত্তর কোরিয়ার নির্বাচনের মত)।
পৃথিবীতে দুই শ্রেনীর লোক আছে, এক শ্রেণী অল্পতে হার মানে, লক্ষ্য স্থির থেকে সরে যায়, ভিন্ন চিন্তায় নিজেকে ডুবিয়ে দেয়, আর এক শ্রেণী পৃথিবী প্রয়ংকর অবস্থাতেও স্থির রাখে লক্ষ্য, শয়নে-স্বপণে একটি নেশা, আমি আমার কাছে শপথবদ্ধ- লক্ষ্যজয়ী হওয়া হল লক্ষ্য।
আমি অধম দ্বিতীয় শ্রেণীর গোত্রের প্রাণী। "পরাজয়ের কাছে আমি নই, পরাজয় আমার কাছে পরাজিত হবে" এই মন্ত্রে আমি বিশ্বাসী।
হে প্রিয় সন্তান! কেঁদো না বাবা, তুমি হেরেছো বলে দুঃখ পেয়ো না, আমি কথা দিচ্ছি তোমার কোন সহোদর ভাই একদিন আলোর মুখ দেখবে, উজ্জল করবে তোমার পিতার মুখ।
আমার অপ্রস্ফুটিত,আলোর দৃপ্তি থেকে বঞ্চিত শিশুটি-------
অভিবাদন
যখন দেখি অন্ধকার এসে দাঁড়িয়েছে, মোর-
দুয়ারে-বাহিরে;
হতাশার ছায়ায় ডুবি, হৃদয়ে উঠে ক্রন্দন
ভাবি, নেই বুঝি কোন পথ, তবে কি এখানেই শেষ?
তখনই আসে ভেসে, অদূর থেকে "আল্লাহ আকবর"
ছেড়ে সব, করি নত শির তাহারই পানে
উঠি জেগে নব-উদ্যমে, করি শপথ-সেই মহান সত্তার নামে,
'যিনি বলিয়াছেন যে লড়তে পারে, সে বীর
বিজয় এসে নম বলে তাহার পদতলে'।
শিখিয়াছি- তাহার বাণী হতে
প্রভাতের কুয়াশার অন্ধকার সাময়িক
দীপ্ত আলোক রেখা ফুটিলে হারিয়ে যাবে কুয়াশা আঁধার কালের গহীনে,
প্রস্ফুটিত সকাল করে আহবান
এ আলো তোমার, এই পথ তোমার, সাহসীদের উপহার।
নব-উদ্যমে, স্রষ্টাকে রেখে স্মরণে
দাও দেীড়,
গিরী-মরু, উত্তাল সমুদ্র, যাহার সম্মুখে দাঁড়াও
দেখিবে সবাই দিচ্ছে তোমায়
নমস্কার, অভিবাদন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১০