ছবি, নেট থেকে নেওয়া।
সরকারের দাবি অনুসারে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পা রেখেছি, উন্নয়নের রোল মডেল, দেশটি এখন উন্নয়নের মহাসড়ক পথে চলমান, এ পথে আমরা গত পাঁচ বছর হয়েছে চলছি। সরকারের এই দাবি নিয়ে কেউ সরাসরি, কেউ সার্কাজম করে ব্যঙ্গ করে আবার কেউ তথ্য দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন সরকারের দাবি পুরোপুরি শুভঙ্করের ফাঁকি। এ দেশে অধিকাংশ মানুষ তথ্যনির্ভর নয় তাই বিরোধীতা করার জন্য একটি দুই লাইনের ব্যঙ্গ শব্দ দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করে।
মূল বক্তব্যে আসি, গত তিন দিন ধরে আমি বিভিন্ন প্রয়োজনে নিউমার্কেট এলাকা, নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকা এবং আজ নারায়ণগঞ্জের রুপসী এলাকা ঘুরলাম। উন্নয়নের ছোঁয়া ইনশাল্লাহ চলমান কিন্তু সবচেয়ে যেটা বেশি দৃষ্টিগোচর হয়েছে তা হল সাহায্যপ্রার্থী সংখ্যা (ভিক্ষুক)। বাসে উঠার সময়, নামার সময়, এমনকি বাসের ভিতরেও আপনি এদের সরব উপস্থিতি দেখতে পাবেন। কোন জনসমাগম স্থানে আপনি যদি স্থির দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন বা বসে থাকেন তাহলে কমপক্ষে দুইজন সাহায্যপ্রার্থী আপনার কাছে হাত বাড়াবে এটা কখনো একটি মধ্যম আয়ের দেশের চিত্র হতে পারে না। সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়া কখনো দেশের উন্নয়নের মূল চিত্র অংকন করা যায় না।
আমার সল্প জ্ঞান বলে এ দেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও সবার জন্য খাদ্য এই স্লোগানের আওতায় অনেকগুলো সরকারি প্রকল্প আছে, যেমন বয়স্ক ভাতা, গ্রামমুখীকরণ প্রকল্পসহ ক্ষুদ্র, মাঝারী নানা ঋন প্রকল্প।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে দিনে দিনে কেন সাহায্যপ্রার্থীর না কমে গাণিতিকভাবে বাড়ছে? সমস্যা কোথায়?
এখানে শুধু অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটি ছোট অংশের কথা বললাম, তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের বর্তমান দুর্দশা বর্ননা করলাম না। নিত্য বাজারের আগুন প্রতিদিন পুড়িয়ে দিচ্ছে একটি স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা।
আমরা এই সরকারের মধ্যম আয়ের দেশ শব্দটি নিয়ে যতই ট্রল করি আমরা কিন্তু সবাই মনের ভিতর একটি উন্নত দেশের স্বপ্ন লালন করি যার প্রথম ধাপ মধ্যম আয়ের দেশ।
একটি মধ্যম আয়ের দেশ আমাদের সবার কাম্য তবে তাতে যেন শুভঙ্করের ফাঁকি না থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২২