একজন তার প্রোফাইলে লিখেছেন "এবারের নির্বাচনের পর রাস্তা ঘাটে, চায়ের টঙ দোকানে লীগ শুভাকাঙ্ক্ষীদের যখনই বলি, ভাই কনগ্রেচুলেশন!
জবাবে তারা বলেন "ভাই মজা নিচ্ছেন"
আমাদের দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এখন মজার নেওয়া স্টাইলে হয়, সে যাই হোক সেই মজার নির্বাচনে নির্বাচিত আমাদের ঢাকার দুই মেয়র ব্যবসায়ী আতিকুল ও ব্যরিষ্টার তাপস!! রাজনৈতিক নেতা শূন্য দেশে যা খুবই স্বাভাবিক।
তারা যেভাবে হোক, মজার নির্বাচনে হোক আর নুরুল হুদা নির্বাচনে হোক তারা নির্বাচিত! জনগণের টাকায় মেয়রের সকল সুবিধা তারা পাচ্ছে, পাবে যতদিন পদে বহাল আছে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে "নুন খেলে গুন খাইতে হয়" তাই জনগণের টাকায় আরাশ আয়েশ, সম্মান সবই যখন তারা নিচ্ছে তাদের উচিত জনগণের জন্য কিছু হলেও করা।
বেশ কিছু দিন দুই সিটিতে খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে যা বেশ প্রশংসনীয়, আমি মনে করি যদি সঠিকভাবে ঢাকার খালশুলো মুক্ত করে পরিস্কার রাখা যায় তাহলে বৃষ্টি মৌসুমে জলাবদ্ধতা অনেক হ্রাস পাবে, তেমনি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পারলে যানজটের প্রায় ১০% স্বাভাবিকভাবে কমে যাবে।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এই দখলমুক্ত কতদিন থাকবে? দখলমুক্ত সহজ কিন্তু দখলমুক্ত ধরে রাখা অনেক কঠিন, আমি যে এলাকায় থাকি এখানে বছরে একবার করে উচ্ছেদ হয়, ঠিক এক সপ্তাহ পরে আগের অবস্থা? ফুটপাত দখল! বাধ্য হয়ে আম পাবলিকের মূল সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটতে হয় এতে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে তেমনি রাস্তায় গাড়ির লেনের প্রস্থ কমে যায় ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।
এর আগেও ঢাকার ঢাকঢোল পিটিয়ে এভাবে উচ্ছেদ হয়েছে আবার তা দখলও হয়েছে, আসলে অনেক বড় অঙ্কের বিনা পুঁজির ব্যবসা সহজে সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যায় না তবে আর কতদিন? (একজন পিঠা ব্যবসায়ীর সাক্ষরতার নিয়েছিলাম, তিনি জানিয়েছিলেন দৈনিক চেয়ারম্যানের লোকেদের দিতে হয় ১৬০ টাকা আর পুলিশকে মাসে তিনশ, পজিশন নেওয়ার সময় এককালীন দিয়েছেন দশ হাজার টাকা)
জনাব ব্যবসায়ী আতিকুল আর ব্যারিষ্টার তাপস সাহেব কি পারবেন এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে চিরতরে দখলমুক্ত করতে? নাকি নির্বাচনের মত মজা নিচ্ছে?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৭