বগুরায় ৭২ জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা আটক! মানে ১৪৪ জন! ৭২ জন মেয়ের মধ্যে প্রায় সত্তর জনের পরনেই বোরখা ছিল। অনেকের মুখ-মন্ডল পর্দায় ঢাকা ছিল।
অর্থাৎ, তাঁরা পর্দাশীল।
একদিনে এতজন পর্দাশীল প্রেমিক-প্রেমিকা একই দিনে একই পার্কে একই সময়ে প্রেম করতে চলে আসল! ব্যাপারটা কেমন নাটকীয় হয়ে গেলনা?
অনেকেই হয়তো আমার কথা অবান্তর এবং হাস্যকর
ভাবতে পারেন। কে কি ভাবল তাতে কিছু যায় আসেনা। একটা ঘটনাকে নিজের মত করে পর্যালোচনা করার অধিকার আমার আছে।
আমি জানিনা কেউ উক্ত ঘটনার নেতিবাচক কোন মন্তব্য করেছে কিনা। আমি এখন করছি। আমার ধারণা এই ঘটনা একটা সাজানো নাটক হতে পারে। এমনতো না যে এরকম নাটক আর আমাদের দেশে হয়নি। অসংখ হয়েছে। এখনো হচ্ছে। ভবিষ্যতেও হবে।
বাংলাদেশ রাতারাতি এত সভ্য হয়ে যায়নি আর দেশের পুলিশও রাতা রাতি এত সচেতন হয়নি যে পার্কে বসে প্রেম করার আপরাধে কাউকে গ্রেফতার করে। এখানে কেউ কেউ বলবে পার্কে বসে তাঁরা প্রেম করছিলনা। অন্য কিছু করছিল। সেই অন্যকিছুটা নিশ্চই অনেক খারাপ কাজ ছিল। বাঙালী জাতি এত অসভ্য বর্বরও হয়নি যে পার্কের মত একটি জনবহুল স্থানে এমন খারাপ কর্ম করবে! সবাই বিশ্বাস করলেও আমি বিশ্বাস করিনা।
তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হল কেন? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগতে পারে। আমি সেদিকে যাচ্ছিনা এই নাটকের চিত্রনাট্যের উদ্যেশ্য কী। কোথায় চিত্রনাট্যের দুর্বলতা আছে তা গভীর পর্যালোচনা করার বিষয়।
(শাহজাহান আহমেদ)