somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেতন বাড়ার সাথে সাথে দুর্নীতিও বাড়ছে

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত বছর মহান বিজয় দিবসের আগের দিন অষ্টম বেতন স্কেলের গেজেটের মোড়ক উম্মোচন করেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং এ গেজেট প্রকাশকে সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য বিজয় দিবসের বিশেষ উপহার হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন তিনি। নতুন বেতন স্কেল নিয়ে দেশের নীতি নির্ধারকমহলের অনেকে-ই আশার আলো দেখছিলেন যে, সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন বাড়লে দেশে দুর্নীতির পরিমান হয়ত কমবে! একথাও ঠিক, অষ্টম বেতন স্কেলের পূর্বের কোন বেতন স্কেল-ই জীবন যাত্রার ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে করা হয়নি। আগের বেতন স্কেলে সরকারী চাকুরীজীবীদের সামাজিকভাবে যথাযথ সম্মান থাকলেও সে সম্মান বজায় রাখার মত অর্থনৈতিক সচ্চলতা তাঁদের ছিল না। তবে অষ্টম বেতন স্কেলে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বেতন স্কেলে সরকারী চাকুরীজীবীদের কারো-ই কোন ধরনের দুর্নীতি বা অসৎ উপায় অবলম্বন না করে সম্মানজনকভাবে জীবন যাপন করতে যে অসুবিধায় পড়তে হবে না, একথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, রেকর্ড পরিমান বেতন বৃদ্ধির পরও দেশে দুর্নীতির পরিমান বিন্দুমাত্র কমেনি বরং বেড়েছে। নামে বেনামে কে কত সম্পদের পাহাড় করবে, সে প্রতিযোগিতায় নেমেছে সরকারী চাকুরীজীবীদের অনেকেই। বেতন বাড়ার পূর্বে সরকারী অফিসে একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ২’শ টাকা দিয়ে যে সেবা পাওয়া যেত, একই সেবা পেতে এখন তাকে দিতে হয় ৫’শ টাকা। মনে হয়, বেতন বাড়ার সাথে সাথে তাদের আত্মসম্মানবোধও বেড়েছে! কিন্তু নৈতিকতায় কোন পরিবর্তন আসেনি। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা এবং নিজেদের দৈনন্দিন কাজ থেকে লব্দ অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে, বেশিরভাগ সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী-ই চাকুরী নেয়া থেকে শুরু করে প্রমোশন এবং বদলী ইত্যাদি প্রতিটি পদক্ষেপে-ই ক্ষমতাবান নিয়ন্ত্রনকারী বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেন করে থাকেন। এমনও শোনা যায়, নিদ্দিষ্ট কোন চেয়ারে বদলী বা প্রমোশনের জন্য আড়ৎে মাছ কেনা বেচার মত দাম হাকতে হয় এবং সর্বোচ্চ দরদাতা-ই উক্ত চেয়ারের জন্য মনোনীত হন। টাকা যদি হয়, নির্দ্দিষ্ট চেয়ারে বদলী বা প্রমোশনের যোগ্যতা, তবে এ টাকার উত্তোলনের পন্থা কি হবে, তা সহজেই অনুমেয়। শুধু তাই নয়, দেশে প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেন ছাড়াও সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মধ্যে অনেকে-ই তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন । মাঝে মাঝে সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসলেও, তা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে কিছুুদিন হইচই হয় এবং পরক্ষনে-ই থেমে যায়। দেশে কি এমন কোন দেশপ্রেমিক নেই, যারা এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে? সভা সমাবেশ এবং বিভিন্ন ধরনের বক্তৃতায় প্রেমের জোয়ারে ভেসে যায় দেশ। কিন্তু কাজের বেলায় কেউ নেই! দুর্নীতি নির্মূল করা কঠিন কাজ হলেও নীতিনির্ধারকদের সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতির পরিমান অনেকটা কমিয়ে আনা সহজেই সম্ভব। এ ব্যাপারে সদিচ্ছা দেখাবে কে? যারা সদিচ্ছা দেখালে দুর্নীতির পরিমান কমবে, তারাইতো দুর্নীতি কমাতে চান না। দুর্নীতি কমলে তাদের বাড়ী, গাড়ী ও ভোগ বিলাসের টাকা কোথা থেকে আসবে? সরকারী অফিসে কেউ কোন সেবা পেতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধরিয়ে সরকারী কর্মকর্তাগন টাকার জন্য তাকে হয়রানী করে থাকেন, আবার কিছু টাকা খরচ করলে গুরুতর ভুল থাকলেও তা ঠিক হয়ে যায়। এ কেমন রাষ্ট্রে আমরা বাস করি? ভুক্তভোগী সাধারন জনগনকে নিয়ে যেন ভাবার কেউ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×