somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনন্ত হত্যা : বিচারহীনতার ফল : ধর্মান্ধদের প্রধান শত্র“ বিজ্ঞানমনষ্কতা

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পিতভাবে শুরু হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত থেকে। সেই ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের সহযোগীতায় আমাদের এদেশীয় জামায়াত আলবদর আল্শামস রাজাকার মিলে দেশের প্রগতিশীল চিন্তা নায়কদের ঘর থেকে ধরে ধরে নিয়ে হত্যা করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও উদীচী ট্র্যাজেডি এবং বহুমাত্রিক প্রথা বিরোধী লেখক ও দার্শনিক হুমায়ুন আজাদকে হত্যার চেষ্টা থেকে শুরু করে আজোবধি কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় বিজ্ঞান মনস্ক ও প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের চুড়ান্তভাবে ভয়ের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করতে হচ্ছে। তবুও তারা তাদের চিন্তার প্রকাশ থেকে পিছু হটেনি। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কাগজের পাশাপাশি মানুষ তার চিন্তার প্রকাশ বিভিন্ন সামাজিক ওয়েবসাইট ও নিজস্ব ব্লগে লিখতে শুরু করে। ফলে ধর্মান্ধ ও দলকানাদের মুখোশ আরও বেশি উন্মোচিত হতে থাকে, যার ফলে আবার শুরু হয় হত্যাযজ্ঞ। এখন স্বাধীন দেশে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানমনস্ক ও চিন্তাশীলকে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ নীরব সরকার ও কথিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবীরা। তারিখ উল্লেখ করে আগাম ঘোষণা দিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি থেকে ২০১৫ সালের ১২মে পর্যন্ত সিলেটের “বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলে’র” সাধারণ সম্পাদক, বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশসহ নয় ব্লগার নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। ইতিপূর্বে ৮ ব্লগার হত্যার কোন ক্লু বের করতে পারেনি সরকার। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সরকারের প্রশাসনিক বিভাগ জানানেও এখনও তার কোনো সুরাহাত হচ্ছে না। আমরা কোথায় বসবাস করছি। দিবালোকের একটি সংখ্যায় অনন্তের শেষ লেখাসহ প্রতিবেদন কলাম থেকে শুরু করে দেশের আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়টি উঠে আসলেও রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অনন্তের মা-বোনের আহাজারি, বাবার বোবা কান্না দেখে কি রাষ্ট্রের একটুও কি বিবেক নড়ে না? তাহলে প্রশ্ন আসছে রাষ্ট্র কি চায়? তাহলে কি আমরা সাধারণ মানুষ ধরে নেব রাষ্ট্র একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হউক? তখন না হয় দেশের মানুষ বুঝতে পারবে তাদের করণীয় কি? এখন তালিকা ছাড়াও রাষ্ট্র হোক আর জঙ্গি হোক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রগতিশীলদের হুমকী-ধামকী এমনকি মৃত্যুর পরওয়ানা পাঠানো হচ্ছে। জানা যায়, অনন্তের ঘনিষ্ঠ আরো দু’জনকে তারা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে সংগঠনের আরো দু’জন দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এখন কার পালা? কখন, কবে, কিভাবে, কে হত্যার মুখোমুখি হবে, কেউ তা বলতে পারছে না? তাই সরকারকে বলতে হবে নিরাপত্তা দিতে না পারলে জঙ্গিদের কাছে নিজেদের সমর্পণ করে ’৭১ এর পুণরাবৃত্তির জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে। প্রশাসন খুব ভালো করে জানে, নয়জন ব্লগারসহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের তদন্তকার্য বিলম্ব করে ‘জজ মিয়া’র মতো নাটক করে বিচার কার্যে কিছুদিন ভুলিয়ে বালিয়ে রাখতে পারলে পার পেয়ে যাবে। রাষ্ট্র কি বিএনপি’র কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেনি? কি করে বিএনপি’র সহযোগিতায় জামাত দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চেয়েছিলো ! তাই বর্তমান সরকার জঙ্গিদের মদদ দিতে গিয়ে বগুড়ার কলাপাড়া, পিরোজপুরের কাউখালি, রামুসহ অসংখ্য সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন অত্যাচারের সুষ্টু তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় একসময় জঙ্গিরা রাষ্ট্রের উপর চড়ে বসবে। এটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল হয়ে দেশ ও রাষ্ট্রের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী হয়ে পড়ছে। আর যদি বিলম্ব হয় তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশে আফগান-পাকিস্তানের মতো একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপ নেবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×