এ অবস্থায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে- ইয়েমেনের জনগণের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া দরকার। আর ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।
ইয়েমেনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই গত ২৬ মার্চ থেকে দেশটিতে আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরব।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে দ্রুত খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবিক তৎপরতা ও জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী স্টিফেন ওব্রাইন বলেছেন, ইয়েমেনে খাদ্য ও ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। ত্রাণবাহী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে দেশটির বন্দরগুলোতে নোঙরের সুযোগ দেয়া উচিত। তিনি বলেন, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইয়েমেনের খাদ্য গুদামসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এ কারণে ২২টি প্রদেশের মধ্যে ১০টিতেই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, জ্বালানি ঘাটতির কারণে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোও সংকটে পড়েছে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত ইসমাইল ওয়ালাদ আল-শেইখ আহমাদও। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন- দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ দুই কোটি ১০ লাখ ইয়েমেনির জন্য এখন খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইয়েমেনের রাজনৈতিক দলগুলো শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বৈঠক করলেও সৌদি আরবের ষড়যন্ত্রের কারণে তা সফল হতে পারেনি। সৌদি আরব ইয়েমেনের বন্দরগুলোতে ত্রাণবাহী কোনো জাহাজকেই ভিড়তে দিচ্ছে না। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত যুদ্ধ বন্ধের জন্য সৌদি আরবের ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে বার্থ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯