বিজয়ের ৪৯ বছরে দেশবাসীকে সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হল মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার তালিকায় নাম দেওয়া। একই ভাবে অনেক রাজাকারকেও মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে নানা সময়ে। আর এর থেকেও কষ্টকর বিষয় হল ৩০ লক্ষ মানুষ নিহত হল ৬ লক্ষ মা-বোন নির্যাতিত হল অথচ আজ পর্যন্ত কোন তালিকা হল না তাদের। তালিকার অভাবে আমরা পারলাম না পাকিস্তানকে যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে।
আজব এক শাসকদের অদ্ভুত শাসনে শাসিত হচ্ছে এ দেশের জনগন। মুখ খুললেই স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী অনলাইনেও কিছু লিখলে আইসিটি এক্টে ফেঁসে যাবার শঙ্কা। এমন কি প্রিয় সামু ব্লগকেও অনেকদিন পর্যন্ত ব্লক করে রাখা হয়েছিল। চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতার চেয়ারকে আঁকড়ে থাকার প্রত্যয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী হিতাহীত জ্ঞানশূন্য। এক এক মন্ত্রী এক এক ধরণের আজব কথা-বার্তা বলে আমাদের বিনোদিত করবার দায়িত্ব নিয়েছেন। ডেঙ্গু থেকে পেঁয়াজের দাম কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে নাই অথচ তারা আমাদের মুরগী দিয়ে ভাত খাবার গল্প শোনাচ্ছেন। ধানমন্ডি লেকে ঢুকতেই চোখে পড়বে ভিক্ষুকমুক্ত সাইনবোর্ড অথচ প্রতি ৫ মিনিটের মধ্যেই এক এক জন ভিক্ষুকের দেখা মিলবে সেখানে। দেশের অর্থনীতি সেরা সময় পার করছে অথচ কোটির বেশি যুবক বেকার চাকরির অভাবে! দেশের এক নম্বর খাত গার্মেন্টসে এখন নিয়মিত কর্মী ছাটাই চলছে, সরকারি জুট মিলের শ্রমিকেরা কয়েক মাসের বকেয়া বেতনের দাবীতে অনশন করে মৃত্যু বরণও করছেন।
বিশ্বের সব থেকে খারাপ নগর পরিবহণ ব্যবস্থা হল আমাদের ঢাকায় অথচ মন্ত্রীর একবার প্যারিস তো একবার অ্যামেরিকার লসএঞ্জেলসের সাথে তুলনা করছেন। সামান্য সর্দি-কাশি হলেও এরাই আবার সবাই আগে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দৌড়ায়। সব অযোগ্য আর অপদার্থদের সরকারের প্রতিটি দায়িত্বশীল জায়গায় স্থান দিলে এসব হওয়াটাই তো স্বাভাবিক! থাক আরও অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু বলে কি লাভ? তারা তো আবার ঘুমে থাকে, তাদের আবার কোন হুঁশ থাকে না!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭