গত কাল একটি নিউজ দেখছিলাম ইত্তেফাকে সম্ভাবত। কাহিনী হল এক প্রবাসী সুন্দরী একটি মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে প্রবাসে গিয়ে জানতে পারে ওই মেয়ে তার অবর্তমানে অন্য কোন ছেলের সাথে পরকীয়া করছে, লোকটি প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বরং মেয়েটি তাকে জেলে পাঠায় এরপরেও সেই প্রবাসী ওই মেয়েটির সাথে সংসার করতে চাওয়ায় মেয়েটি তার নব্য প্রেমিকের সহয়তায় ওই লোককে আটকে রেখে নির্যাতন করে ভিডিও ধারন করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
একটি রিসোর্টে একজন গেস্ট এসেছেন তার নতুন বিয়ে করা বউসহ। লোকটি দীর্ঘদিন প্রবাসে আছেন এবং এখন তার বয়স ৪০+ বউয়ের আহ্লাদ পূরণ করবার জন্যই তিনি তাকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে কোন মেয়ে আঠারো বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে পারে না। অথচ ওই প্রবাসীর বউয়ের বয়স জানতে চাইলে তিনি জানান জন্ম তারিখ নাকি জানেন না, তবে তিনি এতটুকু নিশ্চিত করছেন তার বয়স বারো বছরের বেশি হবে!
দুইটি ঘটনা খেয়াল করুন অধিকাংশ প্রবাসী মাত্রই কম বয়সী সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করেন। প্রবাসীদের অনেক টাকা চিন্তা করে মেয়ের পরিবার কোন চিন্তা ছাড়াই মেয়েকে প্রবাসীর হাতে তুলে দিতে রাজী থাকেন। পরবর্তীতে দেখা যায় প্রবাসী তার রক্ত পানি করে টাকা উপার্জন করে তার বউকে টাকা পাঠাতে থাকেন কিন্তু তার বিবাহিত অল্প বয়সী বউ এত টাকা কিভাবে খরচ করে তার সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনাও তার থাকে না। বরং দেখা যায় বউ প্রবাসী স্বামীর টাকায় নিজের একাকীত্বদূর করতে কোন এক প্লে'বয় টাইপের প্রেমিকের সাথে জড়িয়ে পরে অবৈধ সম্পর্কে। ফলাফল তো আপনাদের জানাই আছে।দেখা যায় প্রবাসী তার বিদেশ জীবনেও সম্পূর্ণ উপার্জন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। কিন্তু তারা সুখকে শুধুমাত্র টাকার অঙ্কে পরিমাপ করতে জানেন বলেই সব হারাতে হয়। যান্ত্রিক যুগে কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সঙ্গিকে যে কিছুটা সময় দিতে হয় সেটা অনেকেই মনে রাখেন না। ২-৫ বছর পর পর ২-৩ সপ্তাহের জন্য দেশে আসা আর বৌয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে তিনি ভাবেন দায়িত্ব পালন করে ফেলেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৬