অনিক লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠল মোবাইলের রিংটোন এর শব্দে । চোখ ডলতে ডলতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে দুপুর ১২ টা ৩০। সাথে সাথে মুখ দিয়ে বিরক্তের একটা গালি বের হয়ে আসল । দ্রুত মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে ১৪ টা মিসড কল আর ৪ টা টেক্সট , টেক্সট গুলো অবশ্য ফোন কোম্পানী থেকে আসেছে এই বোনাস সেই বোনাস এমন ধরনের । মিসড কল চেক করে দেখে নাফিস অনেক গুলো ফোন দিয়েছে । মোবাইল টা হাতে নিয়ে ঘূরাছে আর ভাবছে ফোন দিবে কিনা,কিন্তু ফোন দিলেই তো অনেক গুলো গালি খেতে হবে বলে ভয় পাচ্ছে , নাফিস অনেক বার করে বলেছিল আজ ওর সাথে কীর্তন খোলা নদীর পাড়ে যেতে হবে , উদ্দেশ্য হচ্ছে ফারিহার সাথে দেখা করা । যাইহোক কয়েকবার ভেবে তাও ফোন দিল ,ও পাশে কেউ একজন বলে উঠল , আপনি যাকে ফোন দিয়েছেন তিনি একজন বিরাট ব্যাস্ত মানুষ , এ সকল ব্যাস্ত মানুষ এর সাথে যোগাযোগ রাখা ভালো , অপেক্ষা করুন ফোন ধরবে , বুজতে পারলাম নাফিস নতুন ওয়েল কাম টিউন সেট করেছে । ফোন ধরেছে নাফিস - - - -
নাফিসঃ কি রে টিকটিকি !! ঘুম ভাঙল ??
অনিকঃ হুম !
নাফিসঃ শালা !! তোরে না কইলাম ১০ টার দিগে নদীড় পাড়ে আইতে । সারাটাদিন তো টিকটিকির মত বিছানায় লাইগা থাকোস । কি হইছে তোর ক তো ??
অনিকঃ না দোস্ত কিছু না , রাতে ঘুমাতে দেরী হয়ে গেছিল । ( গালাগাল না শুনতে মিথ্যে টা বলতেই হল )
নাফিসঃ তা তুমি সারা রাত্রে কি কর্ম সাধন করিয়াছ যে,ঘুমাইতে দেরী হল ।
অনিকঃ না দোস্ত কিছু করি নাই , এম্নিতেই ঘুম আসতেছিলো না ।
নাফিসঃ যাই হোক শুন মন দিয়া , ফারিহার আব্বা সকালে বাসায় আছিল এর জন্য আসতে পারে নাই , কইছে বিকালে আইব , তুই চইলা আসিস ৪ টার দিগে , এবার মিস হইলে কিন্তু তোরে আমি কাচা খায়া ফালামু ।
অনিকঃ নাফিস রেগে যাচ্ছে দেখে বলল , আচ্ছা দোস্ত থাকব , চিন্তা করিস না।
নাফিসঃ আচ্ছা এখন রাখি,টাইম মত চলে আসিছ।
অনিকঃ আচ্ছা , বাই ।
ফোন রাখতেই মা এর রুমে প্রবেশ । নবাব এর বেটার ঘুম ভাংছে তাইলে । এতক্ষণ কেমনে ঘুমাস তুই আমি বুজি না বাপু !! মা এর আজাইরা পেচাল শুরু হয়ে যাচ্ছে দেখে দৌড় দিয়ে বাথরুমে ঢুকল । বাথরুমে ঢুকে কল ছেড়ে দিল । পানির টুপটাপ শব্দ ভালো লাগে ওর । ব্রাশে পেস্ট লাগাতে লাগাতে ভাবনার জগতে হারিয়ে গেল ,ওর ইদানিং কি যেন হয়েছে ওর খালি ঘুম আসে আর আজিব আজিব ধরনের সপ্ন দেখে । আজ ও আজিব একটা স্বপ্ন দেখেছে যেটার কোন যুক্তি নাই , কলেজের বন্ধুরা মিলে বান্দর বন ঘুরতে গেছে্ ,বন-বাদাড় , পাহাড় ওর অনেক ভালো লাগে।সবাই পাহাড়ে উঠেছে , তো ও ঘুরতে ঘুরতে হটাত বন্ধুদের থেকে কখন আলাদা হয়ে গেছে বলতে পারবে না । সামনে এগুতে এগুতে হটাৎ রক্ত বর্ণের একটা ফুল দেখতে পায় , মনে হতে লাগল ফূলঅটা ওর চাই যে কোণ মুল্য । এমন ফুল ও আগে কখনো দেখে নি , চোখ সরাতে পারছে না , ফুলটা যেন ওকে সম্মহিত করে ফেলেছে ।
(গল্প চলবে) . . . . . .