ইরান অবঃশেষে স্বীকার করেছে যে, ইরানে ইউক্রেনের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, তা তাদের নিজেদের মিসাইল হামলায় হয়েছে। ইরান যদিও বলছে যে, তা ছিলো অনিচ্ছাকৃত ভূল, কিন্তু, এখন প্রশ্ন জাগছে যে, আসলেই কি তা ভূল ছিলো, নাকি ছিলো ইউক্রেনের উপর একটি প্রতিশোধ?
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই। মালয়েশিয়ার Flight 17 পূর্ব ইউক্রেনের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো। ঠিক তখন, একটি বাক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল আঘাত হানে ঐ বিমানে। তাতে মারা যান ২৮৩-জন আরোহী এবং ১৫-জন ক্রু-এর সবাই। ঐ বিমানের কোন হদিসই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, হল্যান্ডের নেতৃত্বে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। যাতে বের হয়ে আসে একটি রোমহর্ষক ঘটনা। মালয়েশিয়ার বিমানটি যখন ইউক্রেনের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো, তখন রাশিয়াপন্থী একটি মিলিশিয়া গ্রুপের ছোড়া একটি মিসাইল ঐ বিমানে আঘাত করে।
প্রায় ৫ বছর পরে, আরেকটি যাত্রীবাহী বিমানে মিসাইল হামলা হলো। এবারে, ইউক্রেনের বিমানের পালা। ইরানের 'অনিচ্ছাকৃত' হামলায় মারা গেলেন ১৭৬-জন!
এখানে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিশ্ব রাজনীতিতে ইরান রাশিয়ার কৌশলগত পার্টনার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইউক্রেনের এই বিমানে ইরানের 'হামলা' কি এই দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটাবে? নাকি, রাশিয়া এর প্রতিশোধ নিবে অন্য কোন ভূমিতে, অন্য কোন দলের মাধ্যমে কোন মুসলিম দেশের বিমানে আঘাত হেনে? সময়ই হয়তো তা বলে দিবে। এই 'প্রতিশোধ'-এর পালা কি চলতেই থাকবে?
কিন্তু, সে যা-ই হোক। এরকম হামলা সাধারণ যাত্রীদের জন্যে ক্ষতিকরই বটে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৪