somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানে 'অনিচ্ছাকৃত' হামলা আর মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমানে হামলা একই সূত্রে বাঁধা?

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইরান অবঃশেষে স্বীকার করেছে যে, ইরানে ইউক্রেনের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, তা তাদের নিজেদের মিসাইল হামলায় হয়েছে। ইরান যদিও বলছে যে, তা ছিলো অনিচ্ছাকৃত ভূল, কিন্তু, এখন প্রশ্ন জাগছে যে, আসলেই কি তা ভূল ছিলো, নাকি ছিলো ইউক্রেনের উপর একটি প্রতিশোধ?

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই। মালয়েশিয়ার Flight 17 পূর্ব ইউক্রেনের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো। ঠিক তখন, একটি বাক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল আঘাত হানে ঐ বিমানে। তাতে মারা যান ২৮৩-জন আরোহী এবং ১৫-জন ক্রু-এর সবাই। ঐ বিমানের কোন হদিসই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, হল্যান্ডের নেতৃত্বে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। যাতে বের হয়ে আসে একটি রোমহর্ষক ঘটনা। মালয়েশিয়ার বিমানটি যখন ইউক্রেনের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো, তখন রাশিয়াপন্থী একটি মিলিশিয়া গ্রুপের ছোড়া একটি মিসাইল ঐ বিমানে আঘাত করে।

প্রায় ৫ বছর পরে, আরেকটি যাত্রীবাহী বিমানে মিসাইল হামলা হলো। এবারে, ইউক্রেনের বিমানের পালা। ইরানের 'অনিচ্ছাকৃত' হামলায় মারা গেলেন ১৭৬-জন!

এখানে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিশ্ব রাজনীতিতে ইরান রাশিয়ার কৌশলগত পার্টনার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইউক্রেনের এই বিমানে ইরানের 'হামলা' কি এই দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটাবে? নাকি, রাশিয়া এর প্রতিশোধ নিবে অন্য কোন ভূমিতে, অন্য কোন দলের মাধ্যমে কোন মুসলিম দেশের বিমানে আঘাত হেনে? সময়ই হয়তো তা বলে দিবে। এই 'প্রতিশোধ'-এর পালা কি চলতেই থাকবে?

কিন্তু, সে যা-ই হোক। এরকম হামলা সাধারণ যাত্রীদের জন্যে ক্ষতিকরই বটে।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৪
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×