বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধর বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন সৈয়দ মাহদী উদ্দৌলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে আলোচিত ভ্লগার সালাহউদ্দিন সুমনের একটি ভ্লগে এমনি দাবী করেছেন সৈয়দ মাহদী। প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন- সিরাজউদ্দৌলার পোশাক, তলোয়ার, কোরআন শরীফ এবং আরও অনেক দলিল।
এখানে যে প্রশ্ন উঠে এসেছে, সেগুলো সত্যিই বাংলার শেষ নবাবের কি না। এই নিয়ে সৈয়দ মাহদীর সাথে কথা বলেছেন জাতীয় জাদুঘরের একজন উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তা। তাঁর মতে- এইসব জিনিসপত্র অনেক পুরনো আমলের। নিশ্চিত হবার জন্যে তা ঢাকায় আনা হচ্ছে। ঘটনা যাই হোক, প্রশ্ন হচ্ছে-
১) নবার সিরাজউদ্দৌলার তলোয়ারে কিভাবে 'সৈয়দ' শব্দটি আসলো যেখানে তার পৈত্রিক উপাধী "খান" ছিল। সিরাজের বাবা "মির্জা" উপাধী ধারন করেছিলেন।
২) সৈয়দ, মির্জা এবং খান বংশ পরিচয় কি একই সাথে কোন ব্যক্তির নামের সাথে থাকতে পারে?
৩) কোরআন শরীফে সিরাজউদ্দৌলার নাম পাওয়া গিয়েছে। পবিত্র কোরআন শরীফে কোন মুসলমান নাম লিখে রাখার রেওয়াজ এখন দেখতে পাওয়া যায় না। তখন ছিলো কি?
৪) নবার সিরাজের বাবার নাম ছিলো জৈনুদ্দীন। তিনি সৈয়দ ছিলেন তার কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। তাহলে, ঐ তলোয়ার বা কোরআন নবাবের ছিলো কি?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া খুব জরুরী। তাহলেই, বুঝা যাবে নবাব সিরাজউদ্দোউলার বংশ বলে দাবী করা মানুষটি যা বলছেন তা সত্য।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৯