জাহাজের আকার অনুসারে বিভিন্ন ধরণের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জাহাজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের যে কোন গবেষণা করতে হলে কোন ধরনের জাহাজ কি রকমের ইঞ্জিন ব্যাবহার করে তা খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি জানতে চান জাহাজগুলোতে রিনিউয়েবল বা নবায়নযোগ্য টেকনোলজি ব্যাবহার করা যাবে কি না, তাহলে বৈশ্বিক জাহাজ বহরে কি ধরণের ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে তা জানাটা বেশ জরুরী।
সামুদ্রিক জাহাজ দুটি ইঞ্জিন নিয়ে গঠিত - প্রধান এবং সহায়ক। জাহাজের ধরন এবং আকারের উপর নির্ভর করে জাহাজগুলি বিভিন্ন ধরণের ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। জাহাজগুলোর বেশির ভাগই ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। ১৯৯১ সালে, বৈশ্বিক নৌবহরের ৯০% ডিজেল-ইঞ্জিন দ্বারা চালিত ছিল। আরেক দল গবেষকের মতে, বিশ্ব বহরে শক্তির জন্য তিন ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে, ৬০,০০০ টন বা তারও বেশি ওজনের বড় জাহাজগুলো ধীর গতির ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছোট জাহাজ অর্থাৎ ২০০০ ডি,ডব্লিউ,টি থেকে ১২,০০০ ডি, ডব্লিউ,টি ওজনের জাহাজগুলো মাঝারি গতির ইঞ্জিন দ্বারা সজ্জিত। ২০০২ সালে, সারা বিশ্বের জাহাজ বহরে ৮৪,০০০টি চার-স্ট্রোক বিশিষ্ট ইঞ্জিন ছিল যার সর্বমোট শক্তি ১,৬৪,০০০ মেগাওয়াট এবং ২৭,০০০টি দুই-স্ট্রোক ইঞ্জিনে ১,৬৪,০০০ মেগাওয়াট বসানো ছিলো। এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্বের রেজিস্টার্ড জাহাজগুলোর ইঞ্জিনের ২.৫% টারবাইন এবং 'অজানা' চক্রের অন্তভূর্ক্ত।
নিচের সারণীতে ১৯৯৭ সালে বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন এবং তাদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে-
তথ্যসূত্রঃ জুন এবং তাঁর গবেষকদল, করবেট এবং ফিশবেক, এন্ড্রেসেন এবং তাঁর গবেষক দল, OECD
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৯