
আমি এক ওয়াক্ত নামাজও পড়ি না। জুম্মার নামাজও না। এমনকি ইদের নামাজও মিস হয়। আমি কি মুসলমান? সেদিন আমার এক ভাই আমাকে চ্যালেঞ্জ করলেন যে- আমি মুসলমান নই। আমি তাকে বললাম- আমি কলেমা পড়া এবং বোঝা মুসলমান। কিন্তু, নামাজ পড়তে যে বুদ্ধি-বিবেচনার প্রয়োজন হয়, তা আমার এখনো হয়নি। তাই, পড়ি না।
নামাজ পড়ার সাথে 'বয়স'-এর কোন সম্পর্ক নেই। থাকলে, নবীজীর উপর যখন প্রথম কোরআন নাজিল হয়, তখনই নামাজ ফরজ হতো। কোরআনেও বলা আছে যে- তোমরা মাতাল অবস্থায় নামাজের ধারে কাছে যাইও না।
মাতাল অবস্থায় কি হয়? সে সময়ে আসলে কান্ড-জ্ঞান থাকে না। এর অর্থ, কান্ড-জ্ঞানের সাথে নামাজের একটা সম্পর্ক আছে। এখন, প্রশ্ন হচ্ছে- আর কি কি কারণে মানুষের কান্ড জ্ঞান লোপ পায়? এর উত্তরে বলা যায়- মস্তিস্ক বিকৃত হলে। পাগলের জন্যে নামাজ ফরজ নয়।
এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের পাগল আছে। কেউবা ভবের, আবার কেউবা ভাবের। আমি নিজেকে এদের চেয়েও উচ্চ মার্গের পাগল মনে করি। তাই, নামাজের ধারে-কাছেও যাই না। আমি পাগল বলেই এমন কোন নামাজ পড়তে চাই না যা মুখের উপর ছূড়ে ফেলা হবে।
আমার আত্মীয় আমাকে 'নাস্তিক' প্রমাণ করতে না পেরে অতিশয় হতাশ হলেন বলে মনে হলো। তিনি চুপ করে গেলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ২:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




