প্রিয় মেয়র আনিসুল হক,
আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুরী।
কয়েক বছর আগে আপনি যখন বেঁচে ছিলেন, হেঁটে যাচ্ছিলাম মানিক মিয়াঁ এভিনিউ নিকটবর্তী এক রাস্তা ধরে। তখন চোখে পড়েছিলো ডাস্টবিনটার উপর। ময়লা উপচে পড়ছে। মনের মাঝে চিন্তার আকি-বুকি, এত্তো ময়লা জমা হয় ঢাকা শহরে! এগুলো আগে ফেলা হতো কোথায়? রাস্তায় কিংবা নর্দমায়? সেগুলো কি পরিবেশ দূষনে আরো সহায়ক হতো? তাতো হতোই!
এই ঘটনার কয়েক মাস আগেও, আপনার এই প্রজেক্টের ডাস্টবিনগুলো খালি দেখেছি। ডাস্টবিন খালি রেখে এর আশে-পাশেই তখন ময়লা ফেলতো মানুষ। এটাকে ঘিরে কম হাসি-ঠাট্টা হয়নি। আমিও এ নিয়ে লেখা-লিখি করেছি।
এর কয়েক দিন পরেই দিন-বদলের হাওয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। তখন আমি ছিলাম গর্বিত একজন ঢাকাবাসী। ভেবেছিলাম, মনে হয়, আর মাত্র একটা জেনারেশন, মাননীয় মেয়র, আর মাত্র একটা জেনারেশন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। তারপরই হয়তো বেশিরভাগ মানুষ শিখে যাবে কিভাবে করতে হয় এই ডাস্টবিনগুলো'র সঠিক ব্যবহার। রাজধানীর প্রতিটি ডাস্টবিনই থাকবে এরকম ভরা।
আর, এরজন্যে প্রয়োজন ছিলো সমন্বিত ব্যবস্থাপনা। ভেবেছিলাম শিশু-কিশোরদের জড়িত করা হবে এর সাথে যাতে তারা সেই রকম একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হতে পারে।
কিন্তু, আজ?
আজ ঢাকার রাস্তার পয়েন্টগুলোতে আপনার সেই প্রজেক্টের কোন ডাস্টবিন নেই। ঢাকার সভ্য মানুষেরা আজ রাস্তাঘাটেই ময়লা ফেলে। স্কুল ছুটি হলে কিংবা পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে শিশু-কিশোররা দেখতে পায় রাস্তায় তাদের অভিভাবকদের ফেলে দেওয়া কোন কোচিং সেন্টারের লিফলেটের পাহাড়! বৃষ্টি বাদলের দিনে যা থেকে উঠা পচা দূর্গন্ধ আশেপাশের এলাকাকে করে দূষিত, দূর্গন্ধযুক্ত।
আপনি কি এগুলো দেখতে পান? ঐ পার থেকে এসব দেখে কি আপনার মুখে ফুটে উঠে দুঃখের এক চিলতে হাসি?
আমি জানি না!, সত্যিই জানি না আপনি তখন কি ভাবেন! তবু, আপনার কাছে আজ বিচার দিয়ে গেলাম।
আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার প্রতি শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৮