আমরা রোবটিক্স নিয়ে কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের পোল্ট্রি রোবটের ফাংশন নিয়ে কাজ করছি। সিলেটের মুরগীর খামারগুলোর জন্যে যে রকম প্রোটোটাইপ রোবট বানানোর চেষ্টা করছি, সেই রোবটের বিভিন্ন রকমের বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। যেমন-
.
১) একটি পোল্ট্রি রোবটকে বিভিন্ন রকম পোল্ট্রি সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নেয়ার এবং বিভিন্ন রকম কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। বিভিন্ন রকমের পোল্ট্রি সিস্টেম আছে, যেমন- ইনটেনসিভ, সেমি-ইনটেনসিভ, এক্সটেনসিভ।
.
২) রোবটটি যাতে মুরগির ঘরের চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে পারে তার ব্যাবস্থা করতে হবে এবং সরঞ্জাম, ফিডার ও পানি দেওয়ার মেশিনের মতো বাধাগুলির মধ্যে দিয়ে চলার ক্ষমতা থাকতে হবে।
.
৩) মুরগির খামারগুলি উচ্চ আর্দ্রতা, ধূলিকণা এবং অন্যান্য দূষণযুক্ত প্রতিকুল পরিবেশ থাকতে পারে। রোবটটি এই অবস্থা সহ্য করার জন্য যথেষ্ট টেকসই হওয়া উচিত।
.
৪) রোবটকে যতটা সম্ভব মানুষের সাহায্য ছাড়া চলার মতো অবস্থা থাকতে হবে।
.
৫) ফার্মের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে, মুরগির উপস্থিতি শনাক্ত করা জন্যে এবং ময়লা পরিষ্কারের প্রয়োজন হয় এমন এলাকা চিহ্নিত করতে রোবটটিকে সেন্সর দিয়ে সজ্জিত করা হবে। এই নিয়ে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করে যাচ্ছেন।
.
৬) রোবটটির সাথে যাতে মুরগির কোন সংঘর্ষ না হয় বা পোল্ট্রি হাউসে অন্যান্য বাধা যাতে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে, সেভাবে যেন ডিজাইন করা হয় সেই দিকটা খেয়াল রাখা হবে।
.
৭) রোবটটি যেন সহজে ব্যবহার করা যায়। এটাকে অপারেট করতে মুরগীর খামারীকে যেন কোনরূপ ঝক্কি-ঝামেলার মধ্যে যেতে না হয়।
.
৮) রোবটটিকে মুরগির স্বাস্থ্য, আচরণ এবং উত্পাদন কর্মক্ষমতা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হতে হবে। খামার ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে এই তথ্য বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
এভাবেই, আমরা প্ল্যানিং করছি যাতে একটি আমাদের প্রজেক্টটা ফলপ্রসূ হয়ে উঠে। আশা করি, সবাই পরমার্শ দিয়ে পাশে থাকবেন।