
ভারত - পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে কি করতে পারি আমরা? একজন নীতিবান, যুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে একক এবং সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। চলুন নিচে দেখা যাক আমাদের কি করনীয় –
ক) সত্য প্রচার করে মিথ্যা প্রতিহত করতে হবেঃ
এই খারাপ সময়ে গুজবে একদম কান দেওয়া চলবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ও ছবিগুলো সম্প্রসারিত করার আগে আমাদেরকে অবশ্যই তা যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সূত্রগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অন্যায় যুদ্ধের বিপক্ষে জনসচেতনতা তৈরী করুন।
খ) শান্তির পক্ষে জনমত গড়ে তুলুনঃ
ছাত্রশিক্ষক, পেশাজীবি এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলোর মাধ্যমে ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ ধাঁচের সচেতনামূলক প্রচারণা সালাতে হবে। সেই সাথে, স্যোশাল মিডিয়াতে হ্যাশট্যাগ মুভমেন্ট চালানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে- #SayNoToWarSouthAsia, #PeaceNotProvocation, #মানবতারপক্ষে – এই হ্যাশট্যাগগুলো যুক্তিযুক্ত হবে।
গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করুনঃ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে Media Literacy", "False Flag Operations", "Conflict Resolution বিষয়গুলো নিয়ে কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করুন। তরুণদের যুদ্ধ থেকে মন সরিয়ে রাখুন।
ঘ) মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে চাপ দিনঃ
পত্রিকাগুলোতে আপনার মতামত জানিয়ে কলাম লিখুন। টিভী টক শো-এর আয়োজন করুন। দেশের নীতি-নির্ধারকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে লিখুন – ‘আমরা যুদ্ধ চাই না’। অতীতে দেখা গিয়েছে, এরকম চিঠি অনেক কাজে দেয়।
ঙ) আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃদেশীয় সংলাপ চালু করুন:
আপনার নিশ্চয় অন্য ধর্মের সহপাঠী বা বন্ধু অথবা কলিগ আছেন। তাঁদের সাথে যুদ্ধ নিয়ে কথা বলুন। খুঁজলে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে অনেক ভারত বা পাকিস্তানের সমমনা বন্ধু পাবেন। তাঁদের সাথে যুদ্ধের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হোন। জুম/ওয়েবিনার/মিট ব্যবহার করে যৌথ আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। এখনই খোজা শুরু করে দিন।
চ) ভবিষ্যতের জন্যে শিশুদের সহনশীলতা শেখানঃ
নিজেদের স্কুলের বা নিজেদের সন্তানের মধ্যে সহনশীলতা গড়তে সাহায্য করুন। মনে রাখবেন, আজকে শিশু, আগামী দিনের জাতির অগ্রনায়ক।
ছ) বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংগঠনগুলোর সাথে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দিনঃ
এমন্যাসটি ইন্টারন্যাশনালের মতো অনেক সংগঠন আছে যাঁদের সাথে আপনি যুক্ত হতে পারেন। শান্তি আলোচনা শুরু করতে এই সংগঠনগুলোর সাহায্য নিন।
যারা যুদ্ধ চায়, মনে রাখবেন, তারা সব সময়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি ও আতংকের মাঝে রাখতে চায়। চায় সাধারণ মানুষ যেন প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠে। আপনার মতো মানুষদের কাজ হলো – মানুষকে আবার মনে করিয়ে দেওয়া – ‘আমরা মানুষ এবং আমরা শান্তি চাই।‘
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



