
ব্রিটিশরা বয়স্ক মানুষদের 'বুড়ো', 'ওল্ড ম্যান' বলে সম্বোধন করে না, বরং 'সিনিয়র সিটিজেন' বলে ডাকে। ২০১২ সাল। তখন আমি ব্রিটেনে। সবে মাত্র মাস্টার্স শেষ করেছি। তখন পরিচয় হয় একটি সামাজিক সংগঠনের সাথে। আমার আইরিশ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় একটি প্রজেক্ট। পরে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফান্ডিং পায় এটি।
তিনি লক্ষ্য করলেন, ব্রিটিশ সমাজে রিটায়ার্ডের পরে সিনিয়র সিটিজেনরা খুবই নিঃসঙ্গ জীবন যাপণ্য করেন। অথচ, তাঁদের তখনও সমাজকে অনেক কিছু দেওয়ার থাকে, অথচ, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই মানুষগুলোকে সমাজের মূল ধারা থেকে দূরে থাকতে হয়।
তাই, তিনি শুরু করলেন, একটি সামাজিক সংগঠন। ব্রিটিশ কমিউনিটি সেন্টারগুলো এবং লাইব্রেরীতে শিশুদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্যে এসব নিঃসঙ্গ সিনিয়র সিটিজেনদের দাওয়াত দিতে থাকেন তিনি। সিনিয়র সিটিজেনরাও তাতে সাড়া দিতে থাকেন, দলে দলে! তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি, অর্থাৎ শিশুদের উদ্দেশ্যে নিজেদের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে সব কিছু বিলিয়ে দিতে থাকেন। শিশুরাও আগ্রহ ভরে তাদের মনে থাকা প্রশ্নগুলো সিনিয়র সিটিজেনদের করতে থাকে। এতে করে, পুরনো প্রজন্ম এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে একটি মেলবন্ধন গড়ে উঠে।
সারা ব্রিটেন জুড়ে এই অরজেক্ট খুব সাড়া ফেলে। আমার শিক্ষক আয়ারল্যান্ড থেকে রাজ্যগুলো ঘুরে ঘুরে এই প্রজেক্টকে ছড়িয়ে দেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



