ঢাকা ছেড়ে গ্রামে
ঢাকা ছেড়ে আমার নিজ গ্রামে থাকছি প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললো। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে! যদিও শীতের রাতে বাড়ির পাশে শিয়ালদের হুক্কাহুয়া মাঝে মাঝে ছওমকে দেয়। মাঝে মাঝে ফজর নামাজের সময়ে মসজিদে যেতে ভয় করে। মাত্র তিন মিনিটের হাটা দূরত্বে থাকা আমাদের হাজী বাড়ির মসজিদের ফরজ নামাজের জামায়াত মিস করে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুম দিতে তখন আর এক্সকিউজ দিতে হয় না।
সাতকরার সিঙ্গারা
আমাদের গ্রামের স্টেশন বাজারের ওদুদ চাচার সাতকরার সিঙ্গারা বেশ বিখ্যাত। সিলেট থেকেও অনেকে তাঁর টং দোকানে সেই সিঙ্গারা খেতে আসেন। আমিও প্রায়ই মাগরিবের নামাজের পরে তাঁর দোকানে ঢুঁ দেই। শীতের সন্ধ্যায় চায়ের সাথে ঐ সিঙ্গারা বেশ লাগে! তখন ২০-২৫টা ছোটোখাটো সাইজের সিঙ্গারা গলাধঃকরণ করতে কোনই বেগ পেতে হয় না।
ইউনিয়নের প্রথম পত্রিকা
আমি আমাদের বরমচাল ইউনিয়নের ১ম পত্রিকা 'পাক্ষিক বরমচাল'-এর প্রকাশক ও সম্পাদক। এই পত্রিকা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে আমাদের গ্রামগুলোতে। প্রথম বলে কথা। ঘুরে ঘুরে বিভিন্নজন থেকে পত্রিকার জন্যে খবর ও কলাম সংগ্রহ করতে করতে দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যাচ্ছে।
বরমচাল স্কুলে ঝুকিপূর্ণ ভবন
আজ বরমচাল স্কুলে গিয়েছিলাম। এসিস্ট্যান্ট হ্যাডমাস্টার জানালেন যে, স্কুলের একটি ভবন থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। তাতে ক্লাস হয়। ঐ ভবন ভূমিকম্পে ধসে পড়তে পারে বলে আশংকা করছেন। আমি জিজ্ঞাস করলাম, কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছেন না কেন! তিনি জানালেন যে, কর্তৃপক্ষ হয়তো ভবনটি বন্ধ করে দিতে পারেন, তাতে ক্লাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমি সাথে সাথে মৌলভীবাজার পৌরসভার সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জনাব সৈয়দ নকিবুর রহমানকে ফোন করলাম। তিনি জানালেন, এটা প্রফেসর সাস্টের প্রফেসর জহির স্যারের এক্তিয়ার ভুক্ত। তিনিই ইন্সপেকশন করতে পারবেন। আমি জহির স্যারকে জানাতেই তিনি বললেন - "আমি ১৬ই ডিসেম্বর এসে দেখে যাবো।"
এভাবেই চলে যাচ্ছে দিনকাল। গ্রামে থেকেই যাবো বলে মনে হচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



