পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে "ফিউশন ফাইভের" পোষ্টের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে কিছু কথা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ব্লগে তর্ক-বিতর্ক করে পাহাড়ে সহিংসতার আগুন নেভানো যাবে না, কথায় শান্তির ফুলঝুরি ঝরালে শান্তি আসবে না। প্রয়োজন আমাদের মানসিক পরিবর্তন। এই ঘটনার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে ব্লগে দুটি গ্রুপ তৈরী হয়ে গেছে। কেন আমরা বিভাজিত হবো? নাকি বিভাজনের সুèক্ষ্ম রেখা তৈরী করে দেয়া হচ্ছে আমাদের মাঝে সুকৌশলে। এ ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত কৌশলই মূল বিষয়।
আমার কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর:
১। পাহাড়ে সা¤প্রতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে কারা- পাহাড়ীরা না কি বাঙ্গালীরা?
২। শন্তু লারমা বাহিনী বাঙ্গালীদের স্বার্থ সংরণ করছে না কি পাহাড়ীদের ?
৩। এনজিওগুলো বাঙ্গালীদের স্বার্থ দেখছে না পাহাড়ীদের?
৪। পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ীরা সংখ্যাগুরু না কি বাঙ্গালীরা?
৫। নির্যাতন করছে পাহাড়ীরা না কি বাঙ্গালীরা?
৭। বিচ্ছিন্নতা আন্দোলন করছে পাহাড়ীরা না কি বাঙ্গালীরা?
সচেতন ব্যক্তিমাত্র জানেন- সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই পাহাড়ীদের দিকেই বর্তায়।
ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে আমাদের সেনা সদস্য, নিহত হয়েছে বাঙ্গালী। কিন্তু মিডিয়ায় রিপোর্ট এসেছে পাহাড়ীদের ঘরে আগুন দিয়েছে বাঙ্গালীরা।
প্রতি বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করা আমার নেশা। শহুরে যান্ত্রিকতা বেষ্টিত থেকে হাঁপিয়ে উঠলেই চলে যাই পাহাড়ে। এ বছর ১ জানুয়ারী খাগড়াছড়ি গিয়েছিলাম। ২ তারিখে আদিবাসী অধিকার সংরণ কমিটির জনসভা হয়। পোষ্টারে সন্তু লারমা, খুশি কবির সহ দুইজন মানবাধিকার নেত্রী ও আমাদের একজন মন্ত্রীমহোদয়ের নাম দেখলাম। স্থানীয়দের পরামর্শে সফর সংক্ষিপ্ত করে জনসভা শুরুর আগেই পাহাড় ছাড়লাম। পাহাড়ের কোন কোন স্থানে ২৪ ঘন্টাই চলছে শন্তু লারমা বাহিনীর সন্ত্রাস, হত্যা, চাঁদাবাজী, মুক্তিপণ আদায়, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান। এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থার আড়ালে চলছে গোয়েন্দাগিরি, অস্ত্রপ্রশিক্ষণ ও বিচ্ছিতাবাদী তৈরীর নীলনকশা। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তত্ত্বাবধান ও অর্থায়নে চলছে এসব। ওখানে সেনাবাহিনী ছাড়া সমতলের মানুষদের আপনজন কেউ নেই। তারা জানালো- আমরা নিজ দেশেই পরবাসী। কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানতে পারি জীবন-জীবিকার সন্ধানে তাদের পূর্ব পুরুষরা এখানে এসেছিল। কেউ সরকার থেকে লীজ নিয়ে, কেউ স্থানীয়দের কাছ থেকে জায়গা কিনে ৫০-৬০ বছর ধরে বসবাস করছে। বললাম- এত সংকীর্নতার মধ্যে এখানে থাকছেন কেন? তারা বললো- এক সপ্তাহ থাকেন এখানে, পাহাড়ের মায়া আপনিও ছাড়তে পারবেন না। সত্যিই তাই, দুই দিনের সফরে মনে হল যেন থেকে যাই এখানে। বাস ছেড়ে আসতেই মনটা হু হু করে কেঁদে উঠেছিল সেদিন। ষড়যন্ত্রকারীরা যেভাবে চতুর্দিক থেকে ঘাপটি মেরে আছে- তাতে পাহাড়ী অঞ্চল যে কোন সময় হাতছাড়া হওয়ার আশংকা দেখেছি। আচ্ছা বলুনতো- এই পাহাড়ী অঞ্চল ছাড়া বাংলাদেশের চিত্র একখন্ড মরুভূমি নয় কি? বজ্রমুঠি চেপে সেদিন সংকল্প করেছি- যদি এমন দিন আসে, তবে জীবন দেব, তবুও এক মুঠো মাটি দেব না।
১০টি মন্তব্য ৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন