নারী স্বাধীনতার ধব্জাধারী্রা কি সুন্দর করে বলে-
" আমরাই এনেছি হে নারী!
তোমার স্বাধীনতা!
তুমি ছিলে বন্দিনী!
এখন হয়েছ নন্দিনী!
হে নন্দিনী! ভোগ করো!
জীবনটাকে উপভোগ করো!
ঐ মোল্লাদের কথায় কান দিও না!
ওরা কুরান-হাদিসের দোহাই দিয়ে তোমাকে বঞ্চিত করতে চায়!
আশ্চর্য! আসলেই কি নারী ছিল জেলাবদ্ধ?
আর এখন বেরিয়ে এসেছে মুক্ত স্বাধীনতায়?
স্বাধীনতা কি 'মামা বাড়ির আম কুড়ানো সুখ'?
কিংবা 'মাসির ঘরের মোয়া'?
কে বলেছে- স্বাধীনতা স্বল্প বসনে?
খাটো জামায়? পর্দাহীনতায়?
কে বলেছে- স্বাধীনতা বিপনী বিতানে ভিড় করায়?
পুরুষ-সঙ্গীর সাথে লীন হয়ে যাওয়ায়?
স্বাধীনিতা!
কে বলে তুমি পাপাচারী যুবকের সাথে কথা বলা!
বিশ্বাসঘাতক পাপের বাজারে চুপি চুপি হাঁটা?
এমনই যদি হও তুমি, হে স্বাধীনতা!
তাহলে ধিক, শত ধিক তোমাকে!
আমি চাই না, ,আমার মাতৃজাতির জন্যে
এমন পাপময় কুলষিত স্বাধীনতা!!
প্রকৃত স্বাধীনতা তাহলে কী এবং কোথায়? প্রকৃত স্বাধীনতা হলো- এই ভণ্ডদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায়। ঘৃণাভরে এদের প্রতারণাময় আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করায়। সতীত্ব রক্ষার জন্য হিজাব ও পর্দার জীবনেক আঁকড়ে থাকায়।
মনে রাখবে হে নারী! হে বোন ! হে মা! হে জায়া! এরা নয়- তোমার প্রকৃত বন্ধু-তোমার পিতা। তোমার ভাই। তোমার স্বামী। তোমার সন্তান। পিতা তোমাকে দেবেন স্নেহের ছায়া। স্বামী তোমাকে দেবেন মমতা ও ভালোবাসা। ভাই তোমাকে দেবে সতর্ক প্রহরা। সন্তান তোমাকে দেবে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
আচ্ছা বলো তো, এই যে এতো সব সম্মান, তা কোথায় পাবে তুমি- আল্লাহ পাকের বিধান ছাড়া? এখানেই তো আছে তোমার স্বাধীনতা এবং এ-ই তোমার স্বাধীনতা!!