২২ বছর বয়সী একটি ছেলের কথা একটু আগে শুনলাম JBSB তে। মানুষ আজকাল সময়মত বিয়ে দেয় না তাদের সন্তানদের। যার কারনে তারা অবৈধ জিনা, পতিতালয়ে যাওয়া, মাষ্টারবেট ও হারাম ও ইত্যাদি বিপজ্জনক পাপ কাজে লিপ্ত হয়। যার কারনে পিতা মাতার কারনে সন্তান পালিয়ে মেয়ে বিবাহ করে। জঘন্য কাজ করতেও অনেক সময় ছেলে মেয়েরা পিছুপা হয় না। সাধারনত ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে এর উপরের ছেলেরা মেয়েরা এই ধরনের কাজে অতিরিক্ত লিপ্ত থাকে। অহরহ ঘটছে এই সমাজে।
সন্তানদের উচিৎ পিতা-মাতাকে বুঝানো। বিয়ে করার জন্য পিতা-মাতাকে বলা।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ ইমানদার নয়। বাংলাদেশে অশিক্ষিত মানুষেরা বেশি। ৮০% শিক্ষিত যদি কেউ বলে তাহলে ফাও বলেছে।
এবার আরো কিছু কথা জেনে রাখুন,
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا (১)
অর্থ: “হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক উৎস থেকে। আর তা থেকে তোমাদের স্ত্রীদেরকেও সৃষ্টি করেছেন। এরপর তা থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আর ভয় কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।” (সূরা নিসা, আয়াত ০১)
যারা বালেগ ও সুস্থ বিবাহ আপনার জন্য কতটা কি জরুরী তা কি আপনি জানেন? সবাই বিয়ে করে নিন ও ফিতনা থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখুন।
২২, ২৩ বয়সী একটি ছেলে কত মেয়েকে নষ্ট করেছে তা সে ভাল করেই জানে। আজ তার মা বাবাকে একঘরে করে রাখা হয়েছে।
পিতা-মাতার সাথে কতদিন কথা হয় না কে জানে। গ্রামের মানুষ সেই আগের একসময়ের ভাল ফুলের মত ছেলেটিকে হয়তো ভাল টাকা পয়সা নেয় বা ছেলের আয় রোজগার নেই বা ইত্যাদি ভুল বিষয়ে ভেবে তাদের ছেলেটিকে বিয়ে না দেয়ায় তাদের ছেলে ভয়াবহ কাজে লিপ্ত যার ফলে তার সম্মানজনক পিতা-মাতাকেও একঘরে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত শুনলে হয়তো আপনিও চমকে উঠবেন সে কিভাবে মেয়েদের সাথে…
পিতা-মাতা আপনাদের জন্য কি বিপদ আসবে না আপনার সন্তানের প্রতি যত্নবান ও যত্নশীল না হওয়ার জন্য ও তাদের হারাম দুনিয়াবি হারাম কাজে, ইহুদী খ্রীষ্ঠানদের কাজে ঠেলে দেয়ার জন্যে ???
নিয়ম অনুযায়ী সন্তানকে বিয়ের জন্য জিজ্ঞাসা করা পিতা-মাতা ও অভিভাবকের দ্বায়িত্ব। আমাদের বাংলাদেশের প্রায় ৭০ % মানুষ মনে করতে পারেন যে টাকা পয়সা নাই ছেলে খাওয়াবে কি? এবং অনেকে ছেলেকে তাগাদাও দেন না। কথা বার্তাও বলেন না সন্তানের সাথে এইসকল ব্যাপারে। আর এইদিক দিয়ে সে যে সীমালঙ্ঘন করছে ও আপনাকেও বিপদে ফেলছে আপনারও বুঝা মহা মুশকিল হয়ে পড়ে।
সুরা নূরের ৩২নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন,
وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ (32)
“তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (নরনারী) তাদের বিয়ে দিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্ম-পরায়ন তাদেরও (বিয়ে দাও)। (দারিদ্রকে ভয় পেও না) তারা যদি নিঃস্ব হয়,তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” (২৪:৩২)
পিতা মাতা সমাজে থাকা কষ্টকর বা মান ইজ্জত ধুলোয় মিশে যায় শুধুমাত্র সন্তানকে সঠিক সময়ে বিবাহ দেয় না বলে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বিবাহ করেছেন এবং এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে বলেছেন,
أَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي.
‘আমি নারীকে বিবাহ করি। (তাই বিবাহ আমার সুন্নত) অতএব যে আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’
সবচেয়ে বেশী বরকতপূর্ণ ও উত্তম বিবাহ:
وعن عائشة قالت : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ” إن أعظم النكاح بركة أيسره مؤنة ” . رواهما البيهقي في شعب الإيمان
অর্থ: হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সা. বলেছেন, “নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি বরকত ও কল্যাণময় বিবাহ হচ্ছে সেটি, যেখানে খরচ কম হয় (অহেতুক খরচ হয় না)।” (বায়হাকী, ঈমান অধ্যায়)
আমাদের আজকের সমাজের একটি দু:খজনক বাস্তবতা হলো:
আমরা বিবাহকে নানাবিধ অহেতুক খরচের বেড়াজালে বন্দী করে তাকে একটি বিভীষিকাময় কর্মযজ্ঞে পরিণত করেছে। এখন বিয়ের নাম নিতে গেলেই আগে লাখ লাখ টাকার বান্ডিল হাতে রাখতে হবে। যার কারণে লক্ষ লক্ষ যুবক আজ বিবাহের নাম নিতেও ভয় পায়। এভাবে অনৈসলামিক আর অপসাংস্কৃতিক কালচার আমাদের যুব সমাজকে বিবাহের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছে। ইসলাম যেখানে বালেগ হওয়া এবং নুন্যতম আর্থিক সঙ্গতি থাকলে বিবাহের অনুমতি দিয়েছে সেখানে আমাদের সমাজ এখন বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য ২০ বছর এবং ছেলেদের জন্য ক্যারিয়ার গঠন নামক শর্তের বেড়াজালে ৩০/৩৫ বছরের অলিখিত শর্তারোপ করে করেছে। কিছুদিন যাবত টেলিভিশনে প্রচারিত একটি কোম্পানীর বিজ্ঞাপনও এই থিউরী সম্প্রচার করছে। বলা হচ্ছে, বিবাহে তো অনেক খরচ, তার চেয়ে বড় মোবাইল কিনে প্রেম করেন, আর ফাও টাকা ওড়ান।
অথচ এর বহু আগেই ছেলে মেয়ে বালেগ ও প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায়। আমাদের বর্তমান সমাজে একটি তরুণ-তরুণীর সামনে অন্যায়-অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়ার সকল উপায়-উপকরণ খুবই সহজলভ্য। কিন্তু বিবাহ দুরূহ। যার কারণে যিনা-ব্যভিচারের বিস্তৃতি ঘটছে। পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে আমাদের রাষ্ট্র ও বহুজাতিক কোম্পানী গুলো অব্যাহত প্রচেষ্টায় এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করেছে, যেখানে যুবক-যুবতীদের বিবাহ বহির্ভুত প্রেম-ভালোবাসা আর যিনা-ব্যভিচার খুব সহজ একটা বিষয় হয়ে গেছে। কিন্তু ধর্ম ও সমাজ স্বীকৃত বৈধ বিবাহকে দেয়া হয়েছে নির্বাসন। তাই দিন যত যাচ্ছে, যিনা-ব্যাভিচার, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন ততই বেড়ে চলছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিবাহকে সহজ ও সাবলীল করার বিকল্প নেই।
সূত্রঃ কিছু কথা অনলাইন থেকে নেয়া
[যাচাই বাচাই করুন]
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। ভুল ত্রুটি হতেও পারে
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩