বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বেতন বৃদ্ধি। তবে এর মধ্যে যে শুভংকরের ফাকি আছে এই কথাটি অনেকে হয়তো জানেন না।আসলে উপরের কর্মকর্তারা বেতনের সুফল কতটুকু পাবেন তা আসলে ভাবভার বিষয়। ইতিমধ্যে বেতনবৃদ্ধির অজুহাতে গ্যাস-বিদ্যুত সহ সকল জিনিষের দাম বাড়ানো হয়েছে। নিচে তুলনামুলক বেতন বৃদ্ধির বিশ্লেষন করা হলো।

বর্তমানে মহার্ঘভাতা নামে একটি ভাতা চালু রয়েছে যা বেতনের সাথে দেওয়া হয়। নতুন স্কেল চালু হলে এই ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। যেইভাবেই হোক টাকা তো আমাদের হাতে আসতো।ভাতা বলে সেটা বেতন বলে গন্য হয় না।কিন্তু আমরা বেতন হিসাবেই পাই।


আগে সরকারী চাকুরীর বেতনের উপর আয়কর বাধ্যতামূলক ছিল না।এখন আয়কর আইনের ৫০ ধারা সংশোধন করা হয়েছে যা সরকারি চাকুরিজীবিদের জন্য প্রযোজ্য।
১২ মাসের মূল বেতন ও বোনাসের (ঈদ/পূজা + নববর্ষ) টাকা যোগ করে ১২ দিয়ে ভাগ করবেন।( এ হিসাবটা জুলাই মাসে করবেন- এ বছরে এখনই করে ফেলুন)
যেমন কারো মূল বেতন মাসে ৩০ হাজার টাকা হলে তাঁর সারা বছরে বেতন , ২টা উৎসব ভাতা ও নববর্ষ ভাতা(বেতনের ২০%) হবে (৩০,০০০/ গুন ১২ + ৩০,০০০গুন ২+ ৩০,০০০এর ২০%)= ৩,৬০,০০০ +৬০,০০০+৬,০০০)=৪,২৬,০০০
এরপর পুরুষ হলে ২,৫০,০০০টাকা এবং মহিলা হলে ৩,০০,০০০ বাদ দিয়ে যা হবে তাঁর ১০% আয়কর দিতে হবে।
এ টাকাকে ১২ দিয়ে ভাগ করে প্রতি মাসের বেতন বিলে কর্তন করে বেতন উত্তোলন করতে হবে।
সারা বছরের মোট বেতন ও বোনাস ৪ লাখের উপরে হলে অতিরিক্ত অর্থের ১৫% টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।
উপরের হিসাব অনুযায়ী - পুরুষকে (৪,২৬,০০০-২,৫০,০০০)=১,৭৬,০০০/টাকার উপরে আয়কর দিতে হবে।
তবে ১,৭৬,০০০ টাকার মধ্যে ১,৫০,০০০ টাকার ১০% ও বাকী ২৬,০০০/ টাকার উপরে ১৫% আয়কর দিতে হবে।
সারা বছরের মোট বেতন ও বোনাস ৫ লাখের উপরে হলে ও ৬ লাখ পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থের ২০% টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।
সারা বছরের মোট বেতন ও বোনাস ৬ লাখের উপরে হলে অতিরিক্ত অর্থের ২৫% টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।

তাহলে সরকারী চাকুরীজীবিদের হিসাবটা কি দাড়ালো?