
সারা দেশের ১০ হাজার প্রেসক্রিপশন এন্যালাইজ করে দেখা গেছে শতকরা ৫২ ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করছে। আররকটা ব্যাপার, রোগ নির্ণয় ব্যতীত অ্যান্টিভাইরাল,অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক ওষুধও ব্যাবহার করছে চোখ বন্ধ করছে, নরমাল সিবিসি টেস্ট করার প্রয়োজনও বোধ করছে না। এত ভালো চিকিৎসক, এত অভিজ্ঞতা, এত এক্যুরেসি! বাহ! শতকরা ভাগ করলে অ্যান্টিভাইরাল ৮৪, ফাঙ্গাল ৮০, প্যারাসাইটিক ৭৭ ভাগ।
আপনি পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়েছেন, ডিগ্রী আছে কিন্তু চেম্বারের চেয়ারে বসে দম না নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক সাজেস্ট করছেন, যা হিসেব আপনিও জানেন না ; সরকার জানে তা হচ্ছে ৮৪ ভাগ। অযোগ্য, ভূয়া ডিগ্রীহীনরা দেয় ৯২ ভাগ রোগীকে।
সময় আসবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স দেখা দিবে, ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া হাই,হ্যালো করবে না ঔষধকে, প্লেসিবো কাজ করবে না, ঔষধের নামে ময়দার গুড়ি,চকের গুড়িই হবে ভরসা। দেশে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক আছে সোয়া লাখ। খবর আসে মাঝেমধ্যে, কয়েকটা ঔষধের নাম মুখস্ত করে চেম্বার নিয়ে বসে ঔষধ লিখে রোগ ভালো করে ফেলছে,ওয়ার্ড বয় সার্জারী করার সময় ইন্সট্রুমেন্ট সহ সেলাই করে দিচ্ছে।এভাবেই চলছে, চলবে তবে করোনার একটা ভ্যারিয়েন্ট বের হওয়ার দরকার ছিল,তা বিশ্বকে চোখ রাঙাতে পারতো; আমরা মুড়ির মত ঔষধ খাই।
আমাদের চিকিৎসকদের মান সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছিলাম, হাটুর ইনজুরীর জন্য আমার পরিচিত একজন ফ্রান্সের ডক্টরকে দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলো,ডক্টর হাটুর অবস্থা বুঝতে ২০/২৫ মিনিট হাটু নাড়া চাড়া করে বিভিন্ন টেস্ট করেও কনফার্ম হতে পারছিলো না ; তবে বাঙালী ডক্টররা দুইটা প্রশ্ন করে ৫/৬ পদের ঔষধ দিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলো।বছরের পর বছর ভালো ডক্টরের সাথে থেকে নরমাল টেস্ট করা শিখলো না, সার্জারী পরের ব্যাপার।
মনে হচ্ছে, একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার বাঙালী ডক্টরদের নিয়ে 'কে কত কম সময়ে কত পদের অ্যান্টিভাইরাল,অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিপ্যারাসসাইটিক ঔষধ লিখে কাগজ ভরাট করতে পারে। কি বলেন?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




