আপনার যাপিত জীবনের উত্থান-পতনের সময়ে আপনার নিজের কখনো মনে হয়েছে আপনি সারভাইভাল অব দ্যা ফিটেস্ট। চরম অপমান,হতাশা,সুইসাইড নোট লিখন,লোনের চাপ, ব্যর্থতার বোঝা সব মিলিয়ে জীবনের এক সময় আপনি জীবন থেকে অব্যাহতি নিতে চেয়েছিলেন।মরার উপর খাড়ার ঘা' বারবার আপনার কাছে হাজির হতো, ঠিক সূর্য্যদয়ের মত। জীবনের ক্লান্তিজনক অধ্যায়ে আপনি হারতে হারতে জিতে যাবার শেষ দেখে যেতে পারেননি।
বাংলায় মানুষ সাধারণত কখনো রক্তের জন্য মরবে না এটা অনেকটা অফিশিয়াল সত্য।তবুও বাঙালীর মত চোষক বিশ্বব্যাপী খুজে পেতে টেলিস্কোপ/মাইক্রোস্কোপ লাগবে বোধহয়।নিজের জাতির খাদ্যের সাথে বিষ; প্রতারণার বিষবাষ্প লোমকুপে ছড়িয়ে আছে ;আপনি নিশ্বাস নিয়ে পরাজিত হয়েছেন,তারপর পরাজিত করেছেন??
মোটিবেশনের যুগ চলছে; সবাই সবাইকে মোটিবেশন দেয়।ব্যবসা চলে,সেমিনারে বিদ্রোহী কবিতার মত হইচই করে রক্ত গরম করার ব্যবস্থা করা হয়। ইন্টারনেটের সুবিধায় মনীষিদের বানী "মিক্সিং -ব্লেন্ডিং করে মগজে ইনপুট করা হচ্ছে,৫০ বসন্ত পার না হওয়া মানুষ প্রজ্ঞার জাহাজ হিসেবে পরিচয় দেয়,টিনেজরা বইমেলায় বই লেখে অটোগ্রাফ দেয়। ভবিষ্যৎ বানী দেওয়া দার্শনিকরা অলিগলিতে পাওয়া যায়,ধর্মের আশ্রয়,গুরুজনের আশ্রয়,ধর্ম-বিজ্ঞানের মিশ্রনে ভবিষ্যৎ বানী দিয়ে নিজেকে অলীক বস্তু মনে করা হয়।দেশের সবচেয়ে ভালো ডাক্তারগণ ফার্মেসীতে বসে,ময়দার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়।তদবীর করে জাল রেজিস্ট্রার্ড নেয়া হয়, সুস্থ হাতে সার্জারী করে দেয় পেঁটে সিজার রেখে।
দেশের অরাজকতার সাক্ষী হওয়া সুখের ব্যাপার কিনা জানি না! তবে অরাজকতার শিকার হওয়া দুঃখের।জীবনের কোনো এক স্টেজে আপনি হাল ছেড়ে দেন নি, জয়ী হয়েছেন বা পরাজিত হয়েছেন ; এখনো সাকসেস প্যারাডক্সে ভুগছেন? কখনো আপনার ভাবনায় এসেছে " আমি হচ্ছি সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট, যে ভাবনা আপনাকে মাথা উঁচু করিয়েছে, খাদের কিনারা থেকে সরিয়ে দিয়েছে?????
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫