দৌদ্দ গোষ্ঠী নিখোঁজ হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বহুল আলোচিত কিশোর জুনায়েদের।ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ বাসা অবশেষে খুঁজে পেলেও পাচ্ছে না তার পরিবারের কাউকে। সপরিবারে গেন্ডারিয়া ডিস্টিলারি রোডে থাকতো বলে জানা গেলেও পুলিশ খুূঁজে পাইনি তার বাসা। অবেশেষে মোবাইল কোম্পানি ও জুনায়েদের পরিচিত একজনের কাছ থেকে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে সেখানে হানা দিয়েছে পুলিশ কিন্তু জুনায়েদকে না পেয়ে ফিরে এসছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুল হকের নেতৃত্বে একটি দল জুনায়েদের সন্ধানে ডিস্টিলারি রোডের বাসায় গিয়ে তা তালাবদ্ধ দেখতে পায়। ওই বাড়ির লোকজন জানায়, তিনদিন আগেই বাসায় তালা মেরে জুনায়েদ তার বাবা মাকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সাধনা ঔষধালয়ের গলিতে জুনায়েদের ভাই-বোনের বাসায় গিয়েও তালাবদ্ধ দেখতে পায়।
সন্ধ্যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল হক জানান, ‘ওর (জুনায়েদ) চৌদ্দ গোষ্ঠী উধাও হয়ে গেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে তাকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েও গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, প্রথমত মামলার বাদী নুরুল্লাহ্ এজাহারে ওয়ারি র্যাঙ্কিন স্ট্রিটের যে ঠিকানা দিয়েছে সেটি ভুয়া। পরবর্তীতে জুনায়েদের পরিচিতজনদের একজন ও মোবাইল কোম্পানি থেকে ঠিকানা সংগ্রহ করে গেন্ডারিয়া ডিস্ট্রিলারি বাসার ঠিকানা পাওয়া যায়। কিন্তু অভিযানে জুনায়েদ বা তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, জুনায়েদের বাবাকে এলাকাবাসী ভদ্রলোক হিসেবেই চেনেন। মহল্লার অনেকেই তাকে ব্যবসায়ী ও নিরেট ভদ্রলোক বলেই জানেন। তবে জুনায়েদের বাবা কি ব্যবসা করেন তা সুনির্দিষ্ট করে কেউ জানাতে পারেননি। বাবাকে ভাল বললেও চালচলন ও কথাবার্তা নিয়ে মহল্লার অনেকেই তার ওপরও ক্ষিপ্ত।
জানা গেছে, যে মেয়েকে কেন্দ্র করে জুনায়েদ অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এ লেভেলের ছাত্র নুরুল্লাহকে উপর্যুপরি নির্যাতন করে তার ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছিল সেই মেয়ের সঙ্গে বুধবার কথা বলে পুলিশ। সেই মেয়ে জুনায়েদের বেপরোয়া জীবনযাপন সম্পর্কে পুলিশকে অনেক তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এ সব তথ্য প্রকাশ করছে না।
জুনায়েদ গেন্ডারিয়ার কসমিপলিটন স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। তবে সে কবে পাস করেছে তা জানতে পারেনি পুলিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে- সপরিবারে পালিয়ে যাওয়ার পর জুনায়েদকে গ্রেফতারে ভিন্ন পন্থা অবলম্বনের কথা ভাবছেন তারা।
সারাদেশে জুনায়েদকে নিয়ে বেশ সমালোচনা চলছে।সুশীল সমাজ তরুণ সমাজের অধঃপতন হিসাবে দেখছে জুনায়েদের এর মারমূখী আচরণ।কেউ কেউ বলছে তাকে শাস্তি দিলে আর কেউ মোবাইলে ভিডিও করে এমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিতে সাহস পাবে না।দেশের টিভি চ্যানেলগুলোও এই ভিডিও প্রচার করছে।