একথা অনস্বীকার্য যে গত কয়েক দশকের মধ্যে চীন সারা পৃথিবীর ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যেরও বড় একটা অংশ দখল করে আছে চীনের পণ্য এবং দিনদিন বড় হচ্ছে তার পরিধি। তাই এদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চীন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।
চীনের কোম্পানীগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের আমাদের দেশের এসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে চীনা ভাষায় দক্ষ লোকের। এই ভাষায় বলতে, লিখতে এবং পড়তে পারা একজন লোককে কমপক্ষে মাসিক ৫০,০০০ টাকা বেতনের চাকরি ব্যবস্থা রেখেছে বিভিন্ন কোম্পানী। দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেলেও, বাড়ছেনা চীনা ভাষা জানা দক্ষ লোকের সংখ্যা। কারণ অন্যান্য ভাষার মতোই চীনা ভাষায় লেখা, পড়া ও বলার পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জণ করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তবে খুব কঠিন কিছু নয়।
চীনা ভাষা বা মান্দারিন মূলত একটি ক্যারেক্টার-বেসড ভাষা। অর্থাৎ এ ভাষার কোন বর্ণমালা নেই। প্রতিটা শব্দের জন্য এক একটা প্রতীক ব্যবহার করা হয় যা প্রায় ৫০০০ বছর ধরে পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান রুপ ধারণ করেছে। এই বর্তমান রুপটাকে বলা হয় সিম্পলিফাইড চাইনীজ। বিদেশীদের চীনা ভাষা শেখানো হয় মূলত হাংবান ইনস্টিটিউট এর বেঁধে দেওয়া লেভেল বা স্তর অনুযায়ী যার ব্যপ্তি ১-৬ পর্যন্ত। লেভেল-১ এর জন্য পড়তে হয় ১৫০টি ক্যারেক্টার, ২ এর জন্য ৩০০ টি, ৩ এর জন্য ৬০০ টি, ৪ এর জন্য ১২০০টি, ৫ এর জন্য ২৫০০ টি এবং ৬ এর জন্য ৫০০০ এর মতো। প্রতিটি লেভেলের জন্য আছে আলাদা আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং উত্তীর্ণদের চীনের হাংবান ইনস্টিটিউট থেকে দেয়া হয় সার্টিফিকেট। উল্লেখ্য যে, এই পরীক্ষার নাম এইচএসকে ( হানউ্য শুইফিং খাওশি) বা চীনা ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা, পাশ মার্কস ৬০% এবং পরীক্ষা হয় পড়া, লেখা ও শোনা এর উপর। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাংবান ইনস্টিটিউট এর সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা আছে।
বাংলাদেশে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চীনা ভাষার উপর কোর্স করানো হয়। যার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তা-মরিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে শেখাচ্ছেন।
তবে অপেক্ষাকৃত দ্রুত ও সহজভাবে শেখার জন্য চীনের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ার কোন বিকল্প নেই। কারণ ভাষা শেখা এবং সঠিক অনুশিলন এর পর্যাপ্ত সুযোগ ও পরিবেশ আছে সেখানে ।একবছর মেয়াদী কোর্স এর জন্য খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মান এবং শহরের উপর নির্ভর করে যা ২০০০০০ বা তার বেশি হতে পারে।
তবে চীনে স্কলারশীপে পড়াশোনা করার ব্যপক সুযোগ রয়েছে। এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়টা হচ্ছে চীনের স্কলারশীপ মৌসুম। স্কলারশীপ পাওয়া যায় বিভিন্নভাবে যেমন: বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এর মাধ্যমে এবং সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে।
গণচীনের স্কলারশীপ এর সুযোগ সুবিধা বেশ ভালো।
টিউশন ফি লাগবেনা, ডরম ডাবল রুমে বাসস্থানের ব্যবস্থা এবং শিক্ষা উপকরণ। মাসিক ২৫০০ আরএমবি ভাতা দেয়া হবে যা বাংলাদেশের প্রায় ৩২০০০ টাকার সমপরিমান।
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্কলারশীপ পেলে চীনে যাওয়া এবং পড়াশোনা শেষে ফিরে আসার বিমান টিকিট পাওয়া যায় যা বাকি দুইটার মাধ্যেমে পেলে পাওয়া যাবে না। মানে বিমানের খরচটা নিচের পকেট থেকে দিতে হবে।
চীনে সরকারী স্কলারশীপের আবেদন গ্রহণ চলছে। বিস্তারিত জানা যাবে বাংলাদেশস্থ চীনের এ্যম্বাসির ওয়েবসাইট, বাংলাদেশ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, ও চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে।
আলোচিত ব্লগ
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন