
ভোটের ফলাফল দেখে আমার অবজারভেশন;
১) ছাত্রদলের লোকেরাই চায়নাই আবিদ জিতুক। ছাত্রদলের লোকেরাই আবিদকে ভোট দেয়নাই। কারন রাজনীতি অনেক ভিন্ন হিসাব নিকাশে হয়। আবিদ ছাত্রদলের মধ্যমসারির একজন নেতা। সে যদি ভিপি হয় তাহলে সে হতো পরবর্তী ছাত্রদলের সভাপতি। নিশ্চয়ই বাকি সভাপতি প্রার্থীরা চাইবে না আগে থেকেই কেউ ভিপি হয়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে যাক।
২) ছাত্রদলের কাছে ডাকসুর হিসাব নিকাশের চাইতে তাদের পরবর্তী কাউন্সিলের হিসাব নিকাশ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৩) ছাত্রদল যদি আগে তাদের কাউন্সিল করে সভাপতি সেক্রেটারি ঠিক করে তারপর ভিপি জিএস দিতো আমার ধারণা তখন ছাত্রদল জিততো। এটা তাদের নেতাদের দূরদর্শীতার অভাব। গত এক বছর সময় পাওয়ার পরেও তারা কোন কাউন্সিল করে নাই। কমিটি দেয় নাই। শিবির কিন্তু শুরুতেই এই কাজটা করে ফেলেছে।
৪) আগেই জানতাম সাদেক কায়েম জিতবে। সাদেক কায়েম পপুলার নেতা সে তুলনায় তার কাছাকাছি মানের কেউ ভিপি প্রার্থী ছিলো না।
৫) ছাত্রদলের আবিদ ভিপি প্রার্থী হিসেবে ভুল সিলেকশন ছিলো। তাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে দেশের মানুষ চিনতো না। সে তুলনায় সাদিক ক্যম্পাসে অনেক পপুলার নেতা।
৬) এনসিপির আসলে দলীয় কোন কার্যক্রম নেই। ওদের লোকেরাও শিবিরের প্যানেলকেই ভোট দিয়েছে। এনসিপি ডাকসুতে জেতার কোন চেষ্টা করেনি, ওরা শিবিরের হয়েই কাজ করেছে।
৭) উমামা একা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, ছাত্রদল এবং এনসিপি যদি উমামাকে সাপোর্ট দিতো সে ভিপি হয়ে যেতো।
৮) নির্বাচন ভালো হয়েছে। কেউ পেশিশক্তির প্রভাব খাটাতে পারেনি, গন্ডগোল হয়নি, কেন্দ্র দখল করেনি। আমি ফলাফল আগেই অনুমান করেছিলাম।
৯) শিবির খুব ভালো ডেডিকেটেড সংগঠন, তারা গতকাল ছাত্রদলকে ভালোই ট্যাকেল দিয়েছে। কেন্দ্র রক্ষা করেছে এবং সব জায়গায় শক্ত অবস্থায় ছিলো।
যাই হোক, সাদিক কায়েমকে অভিনন্দন। ভিপি হিসেবে সে ভালো কিছু করবেই বলে ধারণা করি। তবে ফরহাদ জিএস হওয়ায় কিছুটা অবাক হয়েছি। আমার ধারণা ছিলো ফরহাদ জিততে পারবে না। সে প্যানেলের জনপ্রিয়তায় টিকে গেছে।
- রাজনৈতিক আলাপ
©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




