সামনের রাজনীতি হবে সংস্কারের দাবীর রাজনীতি। নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে দাবী জামায়াত ও এনসিপি করছে সেটা আরো জোরদার হবে বলেই ধারণা করি। সরকার মুলত এই সুযোগটাই করে দিচ্ছে বর্তমানে। কিভাবে?
এই যে সকল ভার্সিটির ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া হলো এটা হচ্ছে মুলত ভার্সিটি দখলের রাজনীতি। বিএনপি এই রাজনীতিতে পরাজিত হয়েছে। জামায়াতের শক্তি এসব নির্বাচনের কারনে বেড়েছে। সামনে জামায়াতের আন্দোলনে এসব ভার্সিটি প্রবল শক্তিমত্তা হিসেবে কাজ করবে। যার ফলে জামায়াত কিংবা এনসিপি তাদের দাবীদাওয়া বাস্তবায়নের জন্য আরো তৎপর হবে।
প্রশ্ন হইতে পারে, বিএনপি কেন তাদের শক্তির প্রয়োগ করছে না? বিএনপির কি শক্তি নেই? উত্তর হইলো, জামায়াত চায় বিএনপি শক্তির প্রয়োগ করুক। বিএনপি এটা জানে বলেই অনিয়ম কিংবা পরাজয়ের স্বাধ মেনে নিয়েও কোন প্রতিবাদ করছে না শুধুমাত্র সংস্কারের আন্দোলন থামানোর জন্য। অথচ সংস্কারের আন্দোলন আরো জোরদার হবে সামনে এটাই ধারনা করি।
আমার ধারণা জামায়াতের সংস্কারের আন্দোলন বাস্তবায়ন করবে সরকার। ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের ডেডলাইন মুলত সেই আন্দোলনের জন্য একটা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। খুব শীঘ্রই এটা মাঠে দেখা যাবে সব ভার্সিটির নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরেই। এর আগে আরেকটা টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেয়া যেতে পারে। এটা মাঠ দখলের রাজনীতি আরো শক্ত হবে। সেটা করে কিনা জানা নেই, আপাতত ভার্সিটির রাজনীতি শেষ হোক তারপর বুঝা যাবে।
- রাজনৈতিক আলাপ
©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




