একজন অদক্ষ আর অপরিণত শাসক যদি কোন দেশের কপালে জোটে তাহলে সেই দেশের পরিণতি কি হয় ইউক্রেন হচ্ছে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনেস্কি মিডিয়ায় কাজ করতো। দেশের জনগনকে নানান পরিবর্তনের গল্প শুনাতো, আশা দেখাতো, স্বপ্ন দেখাতো। এভাবে একসময় জনগণ তার মিষ্টি মিষ্টি কথায় আশাবাদী হয়ে তাকে প্রেসিডেন্ট বানালো।
এই মিষ্টিভাষী অদক্ষ আর অদূরদর্শী প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় গিয়েই পার্শ্ববর্তী দেশ রাশিয়ার সাথে ক্যাচাল লাগানো শুরু করলো। মিডিয়ায় কাজ করা কিংবা বড় বড় বক্তৃতা দেয়া আর দেশ চালানো যে এক জিনিস না তা অল্প কিছু মাসের মধ্যেই সে বুঝে গেলো। এরপরেই সে দেশটাকে নিয়ে নানান রকমের খেলা শুরু করলো। ন্যাটোতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
ব্যস, শুরু হয়ে গেলো রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ইউক্রেন তার দেশের বেশ কিছু অংশ হারালো, সৈন্য হারালো, অর্থনীতি শেষ হলো, দেশটা হয়ে গেলো আমেরিকার কেনা রাজ্য। কারন আমেরিকার কাছে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি না করলে যুদ্ধের জন্য যে পরিমান লোন করেছে তা শোধ করতে পারবে না। সবকিছু হারিয়ে এখন তার ন্যাটোতে যোগ দেয়ার খায়েশ মিটেছে। সে আপাতত ন্যাটোতে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান নিয়েছে। মাঝখানে ইউক্রেন দেশটা শেষ হয়ে গেলো।
গলাবাজি করা, অন্য দেশকে হুমকি ধামকি দেয়া, বাচ্চা পোলাপানের মত কাজকর্ম করা আর দেশ চালানো আলাদা জিনিস। দেশের জনগনকে এই জিনিসটা বুঝতে হবে। অপরিণত আর অদূরদর্শী শাসক যদি তারা ঠিক করে তাহলে তাদের কপালেও ইউক্রেনের মত দূর্গতির দেখা মিলতে পারে। তাই জনগণকে অবশ্যই সচেতন ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সামনের নির্বাচন হচ্ছে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




