somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিগারেট হইতে সাবধান

১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি বিশেষ ঘোষনাঃ "বর্তমানে সিগারেট এর দাম ওনেক বেরে গেছে। তাই আসুন আমরা সকলে সিগারেট পান করা ছেরে দেই"।

সিগারেট একটি ক্ষতিকারক জিনিস।তারপরও আমরা সিগারেট পান করা থেকে পিছপা হইনা। একজন ডাক্তার তার রোগীকে ধুমপান থেকে বিরত থাকতে বলেও সে নিজে ধুমপান করছে। এর অর্থ হচ্ছে আমরা নিজেরাই জেনে শুনে ধুমপান করছি। আমাদের মরণ আমরাই ডাকছি। তবে মানুষের জন্ম এবং মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে। তবে ধুমপানের মাধ্যমে কারও কোন প্রকার লাভ হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নাই।

যারা ধুমপান করেন তাদের অবশ্যই একটি মাসিক বাজেট রাখতে হয়। তার অর্থ হচ্ছে আমরা প্রতি নিয়তই অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বর্তমানে একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের সিগারেট এর মূল্য ৫ টাকা মাত্র। যদি দুস্টামীর ছলেও প্রতিদিন একটি করে সিগারেট পান করি তাহলে মাসে ১৫০ টাকা এবং বছরে ১৮০০ টাকা খরচ করতে হয়। আমাদের মাঝে অনেক ধুমপায়ী আছেন যারা দৈনিক ২০ টিরও অধীক সিগারেট পান করে থাকেন। তাদের বেলায় এই পরিসংখ্যান একটু অন্যরকম কিনা তা আমি জানি না।


তামাক ক্ষাত থেকে বাংলাদেশ সরকার হয়তো কিছুটা লাভবান কারন এর থেকে কিছু রাজস্ব আসে। স্বল্পউন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সিগারেট নিষিদ্ধ করতে পারছে না। আমাদের দেশে সর্ব শ্রেনীর মানুষকেই সিগারেট পান করতে দেখা যায়। তবে এখনতো অপ্রাপ্ত বয়স্কদের আরও বেশী দেখা যায়। তাদের মধ্যে স্কুল এবং কলেজের ছেলেদের দেখা যায়। আমাদের নারী ধুমপায়ীদের সংখ্যাও দিনদিন বেরে চলছে। ধুমপান বিষয়ক একটি আইনও জনমনে কিছুদিন আলোরিত ছিল। কিন্তু আমার জীবনে আমি কোনদিন এই আইনের ব্যবহার দেখিনী।


ধুমপান কারীরা নিজের ইচ্ছায় ধুমপান থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। তারপরও ধুমপান আমরা করে থাকি। কেন করে থাকি তা আসলে আমরা হয়ত নিজেরাও জানি না। ধুমপান থেকে মূক্ত থাকার জন্য, ধুমপান না ছারার কোন বিকল্প নাই।

সিগারেট ছেরে দিব ছেরে দিব বলে, আমরা সিগারেট ছারতে পারি না। আসলে আমরা মাদক কে না বলতে পারি কিন্তু সিগারেটকে..... না। আমাদের দেশে খোলা বাজারে যেভাবে সিগারেট বেচাকেনা হয় উন্নত বিশ্বের কোথাও এরকম আছে বলে আমার মনে হয় না। আর এ জন্যই আমরা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের আটকাতে পারিনা। এটা আমাদেরই একটি গুরূতর অপরাধ।


আসুন আমরা সবাই ধুমপান ছেরে দিতে চেষ্টা করি। আমাদের শারীরিক, মানষিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে বের হবার চেষ্টা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:২৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×