somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মসনদ কন্যা

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভীষণ অস্থির সময় কাটছিল গত তিন চার টা মাস। জন্ম ভুমি থেকে দূরে থাকলেও আবেগে আর অনুভুতিতে একদম পিছিয়ে থাকি বলা যাবে না। নির্ঘুম রাত কাটে প্রায়ই জানি এতে কোন লাভ হবে না কিন্তু মন ত মানে না। যে জন্য লিখতে বসা...সত্যি বলতে কি আমার প্রিয়ভূমি এখন যে ক্রাতিলগ্নে দিনাতিপাত করছে স্বাধীনতার পর এমন সংকটের আবর্তে বাংলাদেশ কখনও আবর্তিত হয়েছে এমন দাবী মনে হয় না কেউ করবেন। আমাদের মত Mango পাবলিকের কথা কেউ শুনবেন বা দেখবেন সে আশা যে অতি দুরাশা তা বোধ করি শিশুটিও জানে।
তুব কিছু ঘটনা বিবেক কে আন্দোলিত করে। যে দারুন কায়দায় নিজেকে প্রধান মন্ত্রি রাখার খায়েশে গনত্রন্তের মানস কন্যা খ্যাত মুজিব কন্যা নিজেকে মসনদে আঠা দিয়ে লাগিয়ে রেখেছেন সেই ঐতিহাসিক আঠা মুজিব সাহেবও ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন , ফলাফল কি হয়েছিল সবার জানা । নোংরা এই বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলে কালক্ষেপণ না করে শুধু বলব, সময় তার নিজস্ব গতি নির্ণয় করে নিবে এবং যার যার ক্রিত কর্মের ফল পুংখুনা পুঙ্খ বুজিয়ে দিবে ।
প্রাচীন এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান দল হিসেবে আমি নিজে আওয়ামীলীগ কে সব সময় বি ন পি এর চেয়ে বেশি এগিয়ে রাখতাম কিন্তু অতি সম্প্রিতি আওয়ামীলীগ এমন কিছু সিদান্ত নিয়েছে যা নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ত প্রমান করে। জামায়েতে ইসলামীকে আওামিলিগ অনেক বার নিজেদের রাজনৈতিক মিত্র করেছে ,পরামরশ নিয়েছে এঁকেই সঙ্গে আন্দোলন করেছে যেমন স্বৈরাচার বিরুধি ও তত্তাবধাওকের আন্দোলন উল্লেখযোগ্য । তখন জামায়াতে ইসলামী তথা দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল টি যুদ্ধাপরাধী ছিল না , দেশের সিংহ ভাগ মানুষ জানতে চায়??? ২০০১ (যদি ভুল না করি) এ প্রথম চার দলীয় জোট ক্ষমতায় আসলে আওয়ামীলীগের টনক নরে। একক ভাবে জামায়াত যে সমস্ত সংসদীয় আসনে কিছুই না সে সমস্ত আসনে জামায়াত বিনপি র সমর্থনে বা বিনপি জামায়াতের সমর্থনে অপরাজেয় এবং এইরূপ সংসদীয় আসনের সংখ্যা প্রায় ৮০ টি (প্রত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে) । আওয়ামীলীগের কর্তাগন ভালই বুজেছিলেন বিষয় টি এবং আওয়ামীলীগও নাম সর্বস্ব কিছু রাম বাম চুন পুঁটি আর পতিত থুথু বাবা খ্যাত এরশাদ কে নিয়ে ১৪ দলীয় তথা মহাজোট করে। তবু শঙ্কা কাটে না নৌকার মাঝিদের । দক্ষ নেতৃত্ব হীন বিনপি থেকে জামায়াত কে আলাদা করতে পারলেই যেন ঐতিহাসিকভাবে ক্ষমতা লোভী দলটির ক্ষমতায় থাকার চিরন্তন বাসনা টি বাস্তবে রুপ নিবে। ৪২ বছরের পুরনো ইস্যু যুদ্ধাপরাধী নামে চালাতে না পারায় মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে হেন কাজ করেনি অভিযোগ প্রমাণের , কিন্তু skype কেলেঙ্কারি সহ সুখরঞ্জন বালি আর নানাবিধ কারনে শুধু দেশিয় বিবেকবান মানুষের কাছেই নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবার কাছেই প্রশ্ন বিদ্দ হয়েছে ট্রাইব্যুনাল , তুব গোয়ার খ্যাত হাসু বিবি বিচার চালিয়ে যান সকল মতামত ও বিদেশি বন্ধু দের অনুরধ উপেক্ষা করেই।
মানস কন্যা ছুতুরতাই ১০০ তে ৯৯ পাবেন এতে দল মত নির্বিশেষে সবাই একমত হবেন আশা করি। একদিকে জামায়াত কে কোণঠাসা আর অন্যদিকে নিজেকে সর্বময় ক্ষমতাধর করে নিজের অধীনে পাতানো নির্বাচন করার সকল বন্দোবস্ত করে রেখেছেন সাংবিধানিক দোহাই দিয়ে বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধমে। বিধি বাম , খুবেই বেরসিক এই জামায়াত। সংগঠনটি নিজেদের উপরে আনিত অভিযোগের মোকাবেলা সহ নির্দলীয় সরকারের দাবীতে বিনপি কে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন করে অসংখ্য মেডেল ধারীর ঘুম হারাম করে দিয়েছে। Mango জনতার মজার খোরাক হচ্ছে , যে সংবিধান বা গনত্রন্তের দোহাই মানস কন্যা গন দিচ্ছেন তা উনারা নিজেদের জন্য প্রযোজ্য মনে করেন না।
শাহবাগের প্রজনন (দুষ্ট ছেলেরা বলে) থুক্কু তথাকথিত প্রজন্ম চত্বরে ফ্রী পানি আর বিরিয়ানির প্যাকেটে আওয়ামী চিকিৎসক নেতা ও রাজাকারের নাতি খ্যাত ইমরান সাহেব কে দিয়ে একের পর এক ফ্লপ নাটকের মঞ্ছায়ন করে জন ধিক্রিত হয়েছেন মানস কন্যা গন। তুব ঢাকাইয়া প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এখনও একক নির্বাচনের দিবা সপ্নে বিভোর হয়ে দেশ কে অরাজকতার স্বর্গরাজ্য করে তুলছে তাছাড়া নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী এবং পরিকল্পিত ভাবে গপালদের কে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দিয়ে দেধারচে গুলি করে পাখির মত আন্দোলন রত মেধাবি ছাত্রদের হত্যা করা এখন ডাল ভাত ।
আওয়ামী প্রেতাত্মা এমন জিনিষ যার কাধে ভর করে তার উত্তর দক্ষিন পূর্ব পশ্চিম সব যেন এক হয়ে যায়। ভাল কে ভাল বলতে এবং খারাপকে খারাপ বলা পক্রিত মানবিকতা জেনে এসেছি।
আশ্চর্যের বিষয় , কিছু প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় এমন ভাবে সংবাদ উপস্থাপন করে মনে হয় যেন তারাই শুধু ভাত মাছ খায় আর আমরা কাঁটা চাটি , নেত্রীর কথা ও কাজ এমন ভাবে উপুস্থাপিত হয় এই সমস্ত নির্লজ্জ মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলতে তথাকথিত ফেবু সেলিব্রেটিদের লিখনিতে যেন উনারা এবং উনাদের নেত্রি মানস কন্যা অগ্নি কন্যা গন ছাড়া আমাদের আর কারো মুখ নেই বলার হাত নেই লিখার শুধু চোখ আর কান আছে।
আসি শেষ কথায়, গত পুরশু মোল্লা সাহেবের স্ত্রী ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত স্বামীর সঙ্গে শেষ দেখা করে যাওয়ার সময় বিজয়ের V দেখিয়েছেন, তাতেয় দালাল মিডিয়া সহ শাহবাগি কুলাঙ্গারদের ছটফটানি বেড়ে যায় । উনি নাকি উধত্ত/ বৃদ্ধাঙ্গুলি দিখেয়েছেন তাদের্‌ । কমন সেন্স বড্ড আন কমন হলে বা বুজেও অন্ধ থেকে কিংবা বিরধিতার জন্য বিরোধিতা হলে কি আর করা। যে আদর্শিক কারনে প্রান প্রিয় স্বামী ফাঁসির কাঠগরায় , যে আদর্শ কায়েমের জন্য জীবন পণ করেছেন আর স্বপ্ন যাদের শহীদ হওয়া তাদের জন্য হাসিনার জেল জলুম কিছুই না। সেই আকাশ সম প্রশস্থ আর পর্বতের ন্যায় অনড় বিশ্বাসের জোরেই মোল্লা সাহেবের স্ত্রী V দেখাতে পারেন এবং দণ্ড প্রাপ্ত রা মাথা উঁচু আর শিনা টান টান করে বলতে পারে, **ফাঁসির দড়ি জুতার ফিতার চেয়েও হালকা অথবা কোন ক্ষমা ভিক্ষা নয় , জীবন আর মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে নয় আসমানে হয় **

আল্লাহ সবাই কে হিদায়েত দান করুক, এবং বিশ্বাস করি স্রষ্টা কারো প্রাপ্য বুজিয়ে দিতে বিন্দু পরিমান কার্পণ্য করেন না।।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×