কোথায় গেছে ১৬/১৭ বছরের আওয়ামী স্বৈরাচার লীগের বাংলাদেশ? চলেন একটু চিন্তা করার চেষ্টা করি।
বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস হয়ঃ যা কখনো কেউ কল্পনাও করেনি তা সম্ভব হয়েছে, কারণ দীর্ঘদিনের জেঁকে বসা স্বৈর বাহিনীকে কারো কিছু বলার শক্তি নাই। শুধুমাত্র আপনার চেতনার খোলসের আড়ালে প্রতিষ্ঠা লাভ করায়। কথা বললেই মেরে দেয়া যায় আমাকে। কোথাও কেউ বলার নাই।
রাপ্তানি খাত মানেই টাকা পাচারঃ রাপ্তানি খাতের অন্তরালে টাকা পাচারের এক মহা উৎসবের নাম হলো অবৈধ আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার। কেউ ধরার নাই। ছাগলকান্ঠে ধরা খাওয়া মতি মিয়ার ব্যাচের এবং তার অধীনস্ত-রা বলেছেন বিভিন্ন জায়গায় যে তিনি হলেন কম দূর্নীতিবাজ। এবং তিনি এ কম দূর্নীতির কারণে ব্যাচের হোয়াটসঅ্যাপে সবাইকে নীতির শিক্ষা দিতেন। এ কম দূর্নীতিবাজ-কে ঘরে ঘরে মোবাইলের মতো কে দিয়েছে? আপা দিয়েছে! আমি বেশি দূর্নীতিবাজদের কথা বলছি না, উনারা আপার চেয়েও শক্তিশালী! উনারা একেকজন শাহাজাহান খান।
শিক্ষাখাত খারাপ করার কারণ হচ্ছে শয়তানের ছোট ভাইয়ের যাতে চাকরীতে পুর্নবাসন হয়৷ ভালো পড়াশোনা করে যদি পাশ দিতে হয় তাহলে তো আর কারো কারো কপালে দেশে মেরুকরণ চলবে না। এ মকামকা মজা কে দিয়েছে? আপনি বলে নেন।
দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেট দিয়ে টাকা তুলে নেয়াঃ এ বয়ান আর দিতে হয়?
বড় বড় প্রকল্পে ওভার বাজেট ও আত্মসাৎঃ এক পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ট্যানেল, বিভিন্ন বসে থাকা হাইটেক পার্ক, দোয়েল প্রকল্প, বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল, কত কি! এগুলো কে দিয়েছে?
বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি এবং শেয়ার বাজার জালিয়াতিঃ
কিছু কি বলা লাগবে? যতটুকু শুনেছি বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ ধাপে জালিয়াতি পরিমাণ ৮ বিলিয়ন ডলারের মতো। কে দিয়েছে?
ভোটিং ইঞ্জিনিয়ারিংঃ এ এক অব্যক্ত ইতিহাস।
তারপরও একজন ব্যাক্তি দারুণ সৎ, উনি কিছু জানেন না, প্রচুর ফেরেস্তা। পৃথিবীতে বেঁচে থাকা একমাত্র সৎ। যদি আমাদের শাসনের প্রয়োজন না হতো তাহলে উনাকে আমরা যাদুঘরে রাখতাম। আর কেউ যোগ্য নাই, ফেরেস্তাকূলের সাংবাদিক শাখাগণ তাহা ধন্য ধন্য করিয়া জানান দেন।
আওয়ামী সরকারকে সমর্থন দিয়ে দিয়ে যারা সকল ক্ষেত্রে অনৈতিক, দায়হীন, অর্থলোভী এবং দেশ বিরোধী সিন্ডিকেটে পরিণত করেছেন ; তারা কি প্রত্যেকেই নিজের অপরাধের জন্যে অনুতপ্ত? নাকি আরো কিছু তর্ক করবেন? তাহলে দয়া করে আপনি আপনার তর্কটি করে যান। আপনার স্বভাবগত বজ্জাতি দেখিয়ে যান। আপনাকে কিছু বলা হবে না। শুধু বাহবা দেয়া হবে।
এখনও তো আপনার বলার আছে বিএনপি তো ভালো নয়, অতএব দগদগে স্বৈরাচারের এমন পাপ বৈধ। বিএনপি কেন এই পারে না, ঐ পারে না। এগুলো তো দিব্যি বলা যায়৷ আপনি বলুন। আপনাকে স্বাগতম জানানো হবে।
শুধু যার কিছু হলেও দেশপ্রেম, রাষ্ট্রীয় দায় এবং পরবর্তী প্রজন্মের দাসত্বকে কষ্ট দেবে। নিজের ফুলের শিশুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যাদের সিনা টান টান হয় তাদের জন্যে কিছু বিষয় তুলে ধরা।
আর যারা চিন্তা করেন, বিএনপি জোট ভালো নয়, এরা প্রচুর খারাপ, ফেরেস্তা নয়। মন্দের ভালো না খোঁজে যারা চিন্তা করেন আকাশ থেকে ফেরেস্তা আসবে। এসেই দেশটাকে জান্নাত বানিয়ে ফেলবে, ঐ ফেরেস্তা কূল আসার আগে পঁচা দল আর তাজা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগই থাক, কারণ বিএনপি আসলেও এবাই করবো। তাগো গন্ডারের চামড়ায় কখন ঢুকবে যে, সকল সেক্টর দুর্ধর্ষ আর অনৈতিক সিন্ডিকেট এবং পঁচা শামুকে ভরে গেছে? তাদের গন্ডারের চামড়ায় কখন ঢুকবে যে, রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া!
যাদের এখনো আওয়ামী লীগ-বিএনপি খোঁচাখুঁচি আছে তিনি খোঁচান। পুরনো অভ্যাস ছেড়ে দেবেন কেন? নিরেট দেশপ্রেমিক ছাড়া কারো কাছে আমার কোন বক্তব্য নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৭