somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ব্লগার শান্ত
শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি।।সেই ছোট থেকেই বেড়ে চলেছি আমি তাও জানি এই বেড়ে উঠার ফলেই এক সময় নিংশ্বেষ হয়ে যাব।আকাশে চাঁদ দেখে অবাক হই না, কিভাবে জুলে আছে ঐ শূন্যে! আমি অবাক হই চাদটাকে কে এত সুন্দর নিয়মে বেধে দিয়েছে।

আজব প্রাণী………………!!!!!!!!!

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই চুর... চুর... চুর...!
আশপাশের লোকজন একত্র হয়েছেগেছে। কিছু ছেলেরা অনেক দৌড় ঝাপের পর চোরটাকে ধরল
মাত্র। চোরটাকে ওরে মোটামুটি ভালোই গুতাইছে! এখনও অনেকে ইচ্ছা মত মারছে। কেমন যেন যার
যার রাগ সে এসে ঝেরে যাচ্ছে। চোর বেচারার অবস্থা পুরাই তেরটা! দাদার শরীরের অনেক
জায়গা থেকেই রক্ত ঝরছে। চেহারা থেকে আরো বেশি ঝরছে। চেহারাটা চেনার কোন উপায় নেই।
গনধোলাই যাকে বলে।তার পুরাটাই তার উপর পতিত হইছে। ভাগ্য ভালো বেচে আছে দাদায়। আমার
তো মনে হয় ওর হায়াত অনেক। এতো গুতা খাওয়ার পরও চোখে এক ফোটা পানি তো আসলই না।
কাঁদারও ভান করল না!
ওর আক্রান্ত চেহারা দেখে আমার খুব মায়া লাগছিল।
দাদারে গাছের সাথে কষে বেধে রেখেছে। ছোটার কোনই উপায় নেই। লোকমুখে শুনলাম মহল্লার
বড় মিয়ারা এর একটা হেস্তনেস্ত করবে। কখন যে মিয়চাবরা বইবো? আর কখন বেচারা এই গনধোলাই
থেকে রেহাই পাবে, আল্লাই জানে। সত্যি কথা বলতে কি, মোর ওরে দেইক্কা, হেইয়া দরদ
লাগতা ছিল।
সকাল ন'টা বাজে। বড় মিয়ারা অনেকেই উঠানে চেহার পেতে বসেছেন। মজলিস পুরা গরম। আমার
দাদাজান আর বাবাজান বাড়ি না থাকায় এ কঠিন কাজে আমাকেই অংশ নিতে হচ্ছে। যদিও
এগুলো খুব অপছন্দ করি। কিন্তু কি আর করার, চাচাজানের ঝারি খেয়ে এক পর্যায় আমাকে আমার
বাড়ি থেকে বড় মিয়া হিসাবে উঠানের চেহার দখল করতে হল। যেসব বড় মিয়ারা বসে আছেন
তাদের তুলোনায় আমি কিছুই না। বেজাই ছোট। যাইহোক দায়িত্ব ঘারে পড়লে উপায় থাকে না.
পালন করতেই হবে।
চোরটাকে উঠোনের মাঝে বসানো হয়েছে। মিয়াছাবরা তাকে ঘিরে বসে আছে। বিভিন্নজন
বিভিন্ন প্রশ্ন করছে।
>>ঐ বেটা! তুই কিতাল্লাই এনো চুরি করবার আইছস?
(কোন উত্তর নেই! মারের ভয় দেখালে বলতে শুরু করল।)
>>দাদা আই এনো চুরি করবারলাই আইতান্নো!
>>তো কিতাল্লাই আইছস?
>>দাদা! আই কোলারতন যাইতাছিলাম। কিচু পোলাপাই আরে জোর কইরা ধইরা আনচে!
চেযারমেন ছাব হেইয়া জোরে একটা চকটান মারল। আর বলল।
>>তোর এমতেই ধইরা অনচে? সত্যি কইরা ক...!
>>না! দাদা! আই হাচা কইতাচি। আই এগুন জীবনেও করিলাই! আন্নেরা আরে একবার বিশ্বাষ যান!
>>তোর বাড়ি কই!
>>উত্তর পারা!
>>পশ্চিম পারায় আইছস কে?
>>দাদা! আই পশ্চিম পারার স্যারে দারে পড়ি।
>>ভোর ছয়টার সময় আবার পড়া কিসের?
এই বলে চেয়ারমেন ছাব দুইটা চটকানা মারলেন।
ছেলেটা এবার জোরে হাওমাও করে কেঁদে উঠল।খুব কাদতে লাগল। কাহীনিটা কেমন
ঝাপসা মনে হচ্ছে।
কিছু পোলাপান এ অবস্থায় চোরটাকে উত্তম মাধ্যম দিল।
মিয়াছাবরা কোন মিমাংশা তো করতে পারলই না, বরং চোরটাকে আচ্ছামত মারল।
দুপরে চোরটাকে পুলিশে দিয়ে দিল। আর বেজাই খারাপ লাগছিল। কিছু করার নাই। চুপ
করে বয়সা রইলাম। মিয়াছাবরা কি করল? কিছুই করতে পারল না।
দুমাস পর। কাহীনি ফাঁস। আসলে চুরি করছে অন্য লোকজন। হেতিরা আমগোর চেয়ারমেনের লোক
লষ্কর। যারা ছেলেটাকে তুমুল দৌড় ঝাপ করে ধরছিল, তারাই আসল চোর।
এখন আর কোন বিচার নেই। মিয়াছাবগো কোন মাথা ব্যাথা নেই! অথচ নির্দোষ
ছেলেটাকে মারছে তো ফাওঁ আবার পুলিশেও দিয়েছে। এখানেই থামেনি। যা চুরি হয়েছে , সব ওর
থেকে আদায় করে ছেড়েছে! আর মান-ইজ্জত তো গেছেই। এটা তো আর গোনায় পড়ে না।
¤¤¤¤¤
আজব পৃথিবী। তার ঘটে যাওয়া কান্ডগুলোও আজব ও র্স্পষকাতর। আমাদের গ্রাম বাংলায় এমন
ঘটনা অহরহ ঘটেছে। এখনও ঘটছে।
ধরলাম সে চুরি করেছে। কিন্তু তার উপর এমন নির্যাতন চালানো হবে কেন? তার জন্য কি কোন
রাস্ট্রিয় আইন নেই? তার কোন শাস্তি নির্ধারিত নেই? অবশ্যই আছে। তারপরও আমরা কেন এমন
নেক্কারজনক কাজ করছি। কেমন যেন মনে হয়, চোর ধরা খেলে আমরা মাইরের প্রাক্টিস শুরি করি!
মনে হয় মাইরের সুযোগ পাইয়াগেছি। সুযোগের কেউ হাত ছাড়া করে?
হায়রে মানবতা! হায়রে মানুষ! আজব প্রাণী!
আমাদেরকে আসলেও এগুলো বর্জন করা দরকার!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×