somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ব্লগার শান্ত
শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি।।সেই ছোট থেকেই বেড়ে চলেছি আমি তাও জানি এই বেড়ে উঠার ফলেই এক সময় নিংশ্বেষ হয়ে যাব।আকাশে চাঁদ দেখে অবাক হই না, কিভাবে জুলে আছে ঐ শূন্যে! আমি অবাক হই চাদটাকে কে এত সুন্দর নিয়মে বেধে দিয়েছে।

গল্প হলেও সত্যি!

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
আঁচল চরম মাত্রায় কনফিউজড ৷ তার এত্তোগুলা লাল শাড়ি ৷ সব গুলাই সুন্দর ৷ কিন্তু কোনটাতে
অন্নেক সুন্দর লাগবে নিজেকে সেইটা বুঝে উঠতে
পারছে না সে ৷ আঁচল দেখতে ভয়ংকর সুন্দর ৷ ভয়ংকর সুন্দর মেয়েদের প্রায় সব কাপড়েই ভালো
মানায় ৷ শাড়িতে তো বটেই ৷ তবে আজকে কেবল সুন্দর নয় বরং অন্নেক সুন্দর লাগা জরুরী ৷ কারণ
আজ আঁচল স্পেশাল একজনের সাথে প্রথমবারের মতো দেখা করবে ৷ স্পেশাল মানুষটার নাম বৃত্ত
৷ নামের মতোই ছেলেটার মুখটা কিছুটা গোলগাল ৷ আঁচল ওকে গুলু গুলু বয় বলে ডাকে ৷ গুলু গুলু বয়
একটু আগে মেসেজ দিয়েছে পাঁচটার মধ্যে রেস্টুরেন্টে উপস্থিত থাকে যেনো ৷ আঁচল গত ঈদে
কেনা লাল শাড়িটাই বেছে নিলো ৷ মনে খুশখুশ থাকলেও উপায় নেই, সময় কম আঁচলের হাতে ৷
ঝটপট নিজেকে সাজাতে শুরু
করেছে আঁচল ৷
.
বাহিরে কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে ৷ রেস্টুরেন্টের এক কোণায় চেয়ারে বসে আছে আঁচল ৷
সামনে টেবিলের ওপারে বৃত্ত ৷ অনলাইন আর অফলাইনে কোনো পার্থক্য নেই ছেলেটার ৷
ফেসবুকে ছেলেটা যেমন ভদ্র সদ্র ভাবে চলে ৷ আজকেও একদম ভদ্র গেট আপ নিয়ে এসেছে ৷ চুল
গুলো একপাশে আচড়ানো, ফুল হাতা
শার্টের হাত সামান্য গুটানো, ক্লিন সেভড ৷ আঁচলের এসব ভালো লাগে ৷ ফেসবুকে পরিচয়ের
প্রথম থেকেই এই ছেলেটাকে পছন্দ করে আঁচল ৷ এমন ভদ্র নম্র ছেলেদের সাধারণত কেউ পাত্তা
দেয় না ৷ কিন্তু আঁচলের কেনো জানি মায়া লেগেছে ছেলেটার জন্যে ৷ সেই মায়া থেকে
কখন যে ছেলেটার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে তা বুঝে উঠা হয় নি তার ৷
.
- আঁচল কি খাবে?
-না এখন না ৷
- কিছু তো খাও! কফি?
- কফি তেমন খাই না তো ৷
-খেয়ে দেখো ভালো লাগবে ৷
-তুমি যে একটা কফি খোর বলোনি তো কখনও গুলুগুলু বয় ৷
-আরে নাআ মানে... এই ওয়েটার কফি
দাও তো দুটা ৷
.
বৃত্ত লজ্জা পাচ্ছে ৷ ব্যাপারটা দেখে মজা পাচ্ছে আঁচল ৷ একটু কিছুতেই ছেলেটা লজ্জা পায় ৷
লজ্জা পাইলেও যে কোনো ছেলেকে অসম্ভব কিউট লাগা সম্ভব সেটা আজ হারে হারে দেখতে
পাচ্ছে আঁচল ৷
.
ওয়েটার কফি রেখে গেছে ৷ কফিতে চুমুক দিচ্ছে দুজন; সাথে চলছে টুকটাক কথা, ভালবাসার কথা
৷কথায় কথায় দুজন দুজনকে আরও বুঝতে শুরু
করেছে, জানতে শুরু করেছে ৷
.
.
২.
সন্ধ্যা নেমে এসেছে শহড়ে ৷ কুয়াশায় ধীরে ধীরে চারপাশ ঢেকে যাচ্ছে ৷ আঁচলের ইচ্ছে
হচ্ছিলো আরও কিছুক্ষন গল্প করবার কিন্তু রাত বাড়ছে,আর হঠাৎ শরীরটাও ক্লান্ত লাগছে ৷
আঁচলকে বাসায় পৌছে দিবে বৃত্ত ৷ শরীর খারাপ অবস্থায় একা একা বাসা যাওয়া ঠিক না এসব
বলে দিয়েছে ছেলেটা ৷ আঁচলও বাধ্য
মেয়ের মতো বৃত্তের কারে ওর পাশে বসে আছে ৷
আঁচলের শরীর আরও খারাপ হচ্ছে ৷ শরীরটা দূর্বল লাগছে তার ৷ ঘুমাইতে পারলে ভালো হতো
বোধহয় ৷
.
-দেখি তোমর জ্বর কিনা !
.
আঁচলের সারা শরীর কেপে উঠলো ৷প্রথমবারের মতো বৃত্ত স্পর্ষ করলো তাকে ,তার কপালে
বৃত্তের হাত ৷ একটা কেয়ারিং হাত ৷ ভালো লাগা ব্যাপারটা কাজ করা উচিত কিন্তু আঁচলের
ভালো লাগছে না মোটেই ৷ নিজের সাথে যেনো লড়ছে আঁচল ৷ চোখ দুটো ভালোভাবে খুলে
রাখতে পারছে না ৷ রাজ্যের ঘুম তার চোখে ৷ তবু এটুকু বুঝতে পারছে গাড়িটা তার বাসার
রাস্তায়
যাচ্ছে না, যাচ্ছে ভিন্ন একটা অচেনা পথে ৷
আঁচল চোখ খোলা রাখতে পারছে না ৷ কপালে এখন আর বৃত্তের হাত নেই ৷ বৃত্তের হাত এখন
তার বাম ঘাড়ে ৷ আঁচল কড়া কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু শরীরটা ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে ৷
প্রায়
অচেতন আঁচল বুঝতে পারছে সে এখন একদম ঘুমিয়ে পড়বে আর ঘুমের পরে কি হবে তা ভাবতে গিয়ে
নিজেকেই ধিক্কার দিচ্ছে বারবার ...
.
.
৩.
গাড়িটা শহরের সবচেয়ে নির্জন রাস্তায় চলছে ৷ সামনে একটা পুরোনো দালান ঘর ৷ বৃত্ত
গাড়িটা
দালান ঘরের সামনে থামিয়ে দিলো ৷ পাশে ঘুমে অচেতন আঁচল ৷ বৃত্ত জানে মেয়েটা প্রায় এক
ঘন্টার মতো ঘুমাবে ৷ কফিতে ঘুমের ঔষুধ
মিশানো ছিলো ৷ ওয়েটারের সাহায্যেই কাজটা সম্ভব হয়েছে ৷ বৃত্ত তাকিয়ে আছে আঁচলের
ঘুমন্ত
শরীরটার দিকে ৷ বহুদিনের অভিনয়ের পর আরেকটা শিকার তার হাতের মুঠোয় ৷
.
রাত গভীর হচ্ছে ক্রমশ ৷ কুয়াশা বাড়ছে ৷ চারপাশ অন্ধকার ৷ নিস্তব্ধতা ভেদ করে মাঝে মাঝে
শব্দ শোনা যায় কিছু রাত জাগা পাখিদের আর
কুকুরের ডাক আর. .আর সম্ভবত একটা মেয়েলী আর্তনাদ ...
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×