অহংকার ক্রমশ হাস্যকর করে তোলে অনন্ত জলিল তার জলন্ত উদাহরণ। আমরা বাঙালি জাতি যেমন আবেগপ্রবণ তেমনি হুজুগ প্রবন।
খেলাধুলায় হারজিত আছে। তেমনি আছে হারলে বিলাই আর জিতলে বাঘ যাতীয় কমপ্লিমেন্ট। ১০ ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হারলে গুষ্টি তুলে গালাগালি দিতে আর আসে পাশে তাকাইনা ; আবার ১০ ম্যাচ হেরে এক ম্যাচ জিতলে অতি উল্লাসে গলা ফাটিয়ে চিল্লাই।
অনুমতি না নিয়ে সাকিব খেলতে চলে যাওয়ায় বিসিবির তলব শুনে সাকিব বলল সে দেশের হয়ে খেলবেনা। দেশে ফিরে আবার বলল রাগের মাথায় বলেছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাকিব আল হাসানের শাস্তি হয়। এটা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারণ সাকিব একজন অত্যন্ত ভালো খেলোয়ার, আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও অন্তহীন।
অনিয়ম তথা বিসিবির সাথে দন্দ্বে জড়িয়ে আফতাব, শাহরিয়ার, নাফিসসহ সম্ভাবনাময় অনেক খেলোয়াড়ের এখন কোন অস্তিত্ত্বই নেই। আশরাফুলের মত খেলোয়ারও বিলীন হতে চলেছে।
দুঃখিত সাকিব, তোমার জন্য খারাপ লাগতেসে অনেক। তবে সত্যিটা হলো " চোর ভালো ডাকাত ভালো ; বেয়াদব ভালো না। " বিলীন হয়ে যেওনা ভাই। বিনয়ী হও। জনতার প্রিয় হইয়েই জনপ্রিয় হয়। উশৃঙ্খলতা, অহংকার সেই প্রিয় অনুভুতির মধ্যে আঘাত করে। না শুধরালে আজকের এই খ্যাতি এই অহমিকা ম্লান হতে খুব একটা সময় লাগবেনা।
তুমি নিঃসন্দেহে দেশের সম্পদ, বাঙালির গর্ব। তোমার যোগ্যতা, দক্ষতা, পরিশ্রম আজ তোমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। আর বাংলাদেশের হয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলেই তুমি আজ বিখ্যাত সাকিব আল হাসান।
বাঙালির এই ভালবাসা এই আবেগের সম্মান টা রাখো ভাই।