টুপি দাড়ির প্রতি বাঙালির এক অন্যরকম দুর্বলতা রয়েছে । আর সেই দুর্বলতাকে কিছু পুরান পাপী তাদের পাপ লুকানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে যুগ যুগ ধরে। লালসালুর মজিদ সেই চরিত্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে আর মহব্বত নগর হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ ।
এখন আসল কথায় আসি, গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের কিছু ভাইরাল ভিডিও দেখে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন । কেউ কেউ আবার ভাবছিলেন এ অনেক বেশি হয়ে গেলো , এভাবে বাবার বয়সী বুজুর্গ ব্যক্তিদের কান ধরে উঠবস করানো ঠিক হয়নি । অথবা শুধু জাঙ্গিয়া পরিয়ে কাউকে কান ধরিয়ে রাখা উচিত হয়নি ।
এখন আমি কিছু তথ্য উপস্থাপন করবো, যা দেখে আপনারা পুনরায় বিবেচনা করবেন আপনাদের অনুভূতি ।
যারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তারা জানেন যে দাড়িওয়ালা পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় কান ধরে উঠবস করা লোকটি হচ্ছে মহিবুল্লাহ । (১৯৯৬-২০০১) জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন । আর তার আমলে এই শার্ট প্যান্ট পড়া তার পাশের লোকটি হচ্ছে প্রমাণিত ধর্ষক মেরাদুল । ২২ তম ব্যাচের এই সাবেক নেতা (১৯৯২-৯৩)বর্ষ । বাচ্চারা বুঝে নাই এরা কারা । তাই মনে হচ্ছে শাস্তি কম হয়ে গিয়েছে ।
তবে তৎকালীন ছাত্রদের মতে ব্যক্তি হিসেবে মহিবুল্লাহ ১৯৯৬ পর্যন্ত অতটা খারাপ ছিলেন না ।
এখন জাঙ্গিয়া পরা অবস্থায় কান ধরে উঠবস করা লোকটি হচ্ছেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস মাখন । এই লোক মসজিদের একজন ইমামকে এভাবে বিবস্ত্র করে কান ধরে উঠবস করিয়েছিলেন । ইমামের দোষ ছিলো ইমাম মসজিদে খুতবায় মাদক ও ইয়াবার বিরুদ্ধে কথা বলে এলাকাবাসীকে সচেতন থাকতে বলেছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯