somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদশ - কোথায় দাড়িয়ে আমরা!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোন অন্ধকার জনপথে বাস করছি আমরা।এটা কি আমার দেশ!!গুটি গুটি পায়ে পিছনে যাচ্ছিলাম আমরা,হঠাৎ করে মনে হচ্ছে দৌড় শুরু করেছি পিছন দিকে।পিছন দিকে দৌড় দিলে যা হয়,মুখ থুবরে পরছে সব কিছু। কেন পিছনে দৌড় দিচ্ছি! আমাদের মত রাজনৈতিক সচেতন কোন জাতি তো এই উপমহাদেশে নাই!!
আমার কাছে মনে হয় আমাদের মুল সমস্যা হচ্ছে শিক্ষা।আমাদের দেশে চাঁদে মানুষ দেখা যায়,এই নিয়ে মানুষও মারা যায়!।মফস্বল এলাকায় এখনও কম্পিউটার বলতে কম্পজ করাকে বুঝে।এর আর কোন ব্যাবহার তাদের জানা নেই(না,আছে,সিনামা আর গান শোনা যায়)এদের কাছে অন্য যে কারো বক্তব্যর থেকে কাঠ মোল্লার বক্তব্য বেশি প্রিয়।শহরের শিক্ষিত সমাজের বড় একটা অংশ শিক্ষিত শুধু মাত্র সার্টিফিকেট দিয়ে।শিক্ষার প্রকৃত অর্থের ধার কাছ দিয়ে কেউ নাই।জ্ঞানের আলো কি জিনিস এরা এই জীবনে বুঝে নাই।এদের কাছে শিক্ষা মানে হচ্ছে ভাল চাকরির একটা দরকারি উপাদান।তাই এদের ভিতরে চেতনা বলে কোন জিনিস তৈরি হয়নি।এদের দৃষ্টি নিজের বউ বাচ্চা পরিবার থেকে বেশি দূর যেতে পারে না।তাই রক্ততাত অভিজিত রায় মাটিতে পরে থাকে এই নির্জীব প্রাণীদের কোন বিকার হয় না।কারন তাদের মাথায় তখন বাড়ি ফিরে ইলিশ মাছের ঝোল খেয়ে বউ কে নিয়ে ঘুমানর চিন্তা।বাদাম খেতে খেতে একজন মানুষ কাতরাচ্ছে দেখা তারপর সোজা বাড়ি ফেরা।মত প্রকাশ কি জিনিস,খায় না মাথায় দেয় তাও কেও জানে না,আরও খারাপ হচ্ছে জানতে চায়ও না।শুধু যে ব্লগার বা মুক্তমনের মানুষ মারা যাচ্ছে আর তার প্রতিবাদ করছে না তা না,এরা কোন কিছুরই প্রতিবাদ করতে জানে না।মায়ের পেটে লাথি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলছে সরকার দলের এক অতি ক্ষুদ্র নেতা,কোন বিকার নাই কারো।সমাজের আরেকটা অংশ আছে দেশে, তারা যে দেশের প্রাণী বোঝার কোন উপায় নাই।এরা সমাজের কোন অংশে বাস করে আমার জায়গা থেকে বোঝারও উপায় নাই।কারন সাধারন মানুষ যে সব সামাজিক উৎসবে আসে তাদের সেখানে দেখা যায় না।একুশে ফেব্রুয়ারিতে দেখা যায় না,হে ফেস্টিভাল,পাঁচ তারা হোটেলের নিউ ইয়ার পার্টিতে দেখা যায়!!দেশের কে কোথায় কি ভাবে মারা গেল এতে তাদের বিন্দু মাত্র কিছু আসে যায় না।মদ খেয়ে গাড়ী চালিয়ে মানুষ মারার পর থানায় যাওয়ার পথে এই শ্রেণীর কোন কোন প্রাণী সেলফি তোলার মানসিকতা রাখে!!সাধারন থেকে এরা অনেক উপরে তাই চালের কেজি ২০০ টাকা হলেও এরা জানবে না কোনদিন!!মূর্খ কাঠ মোল্লা আর এর মাঝে কোন পার্থক্য নাই আসলে।দুই জনই নিজেকে নিয়ে আছে।
সমাজের অবক্ষয় শুরু হলে সবার আগে যাদের বোঝার কথা বাংলাদেশে তারা হচ্ছে সব চেয়ে উদাসিন! এরা কিন্তু শিক্ষিত,তথাকথিত চেতনাধারিও!! এরা কি দিয়ে তৈরি আল্লাই জানে! প্রকাশক খুন হয় এদের কাও কে একটা টু শব্দ করতে দেখা যায় না পাছে তার ইমেজের উপরে আচর পরে!!
আমাদের শিক্ষা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।মত প্রকাশ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের শিক্ষাক্রমে থাকতে হবে।আরেকজনের বিশ্বাস কে মূল্যায়ন করার ব্যাপারে পরিষ্কার বক্তব্য থাকতে হবে।অন্য ধর্মের মানুষজনও মুসলমানদের মতই মানুষ তা আমাদের পাঠ্য বইয়ে থাকতে হবে(তারা যে খাবারে গোবর মিশিয়ে রান্না করে না তা আমাদের পরিবার থেকে বলতে হবে!! )। শিক্ষার শুরুতেই বোঝাতে হবে শিক্ষা অর্জন দরকার জ্ঞান অর্জনের জন্য চাকরির জন্য না।নিচে থেকে শুরু না করলে চলবে না।
হয়ত স্বপ্নের বাংলাদেশ সম্ভব না কিন্তু এমন এক বাংলাদেশ পাওয়া খুবই সম্ভব যেখানে যে কেউ তার মনের কথাটা বলতে পারবে,যেখানে অন্তত রাজাকারের বিচার চাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হবে না,যেখানে টাকা আছে বলে যা ইচ্ছা তাই করার লাইসেন্স কেউ পাবে না,যেখানে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত একটা প্রজন্ম দেশের হাল ধরে রাখবে।আমার মনে হয় এমন কোন অসম্ভব না এই বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরোনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×