somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অতি কাল্পনিক গল্প

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নরকের দরজার সামনে বেশ কিছু মানুষের ভিড়।এরা অপেক্ষা করছে নরকে যাওয়ার জন্য। নিয়ম হচ্ছে পাপ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির শাস্তি দেওয়া হবে। বিভিন্ন শাস্তির জন্য আলাদা আলাদা নরকের দরজা। পাপ এবং শাস্তি ঘোষণা করে পাপিদের কে নির্ধারিত দরজা দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। শাস্তির বর্ণনা শুনেই একেকজন বুক ফাটা আহাজারি শুরু করে দেয়।সহজে যেতে চায় না কেউ। ধরে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় পাপিদের। এ এখানকার প্রতিদিনকার চিত্র।নরকের কারা রক্ষি থেকে শুরু করে আর যারা যারা স্টাফ আছে তাদের গা শোয়া হয়ে গেছে ব্যাপারটা।

সব স্বাভাবিক চলছিল।কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল একদিন হঠাৎ করেই।যিনি পাপ এবং শাস্তি উচ্চস্বরে সবাইকে পড়ে শুনায় স্বর্গীয় নথি দেখে তাকে হঠাৎ যমালয়ের হেড অফিসে ডেকে পাঠালেন যমরাজ। তাকে কেন ডেকে পাঠানো হল তার সাথে এই গল্পের কোন সম্পর্ক নেই।সম্পর্ক হচ্ছে তার অবর্তমানে যে ছোকরা কে দায়িত্ব দেওয়া হল এই কাজের তার সাথে।বেচারার প্রথম প্রথম মন খারাপ থাকলেও কিছুক্ষনের মাঝেই সে এই কাজের মাঝে মজা খুঁজে পেয়ে গেল।যেহেতু সব পাপি এখানে তাই কোন দয়া দেখানোর বালাই নাই। আর সে এখানেই মজা খুঁজে পেয়ে গেল। একেক জন যখন শাস্তি শুনে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল তখন সে তাদের দেখে বিমল মজা নিতে থাকলো।উৎসাহের সাথে বলে যেতে লাগলো, ঘুষখোর সব তিন নাম্বার দরজায় যাবে, সেখানে তাদের কে দেওয়া হবে প্রথমে হালকা করে তেলে ভাজা পরে গনগনে আগুনে বারো ঘণ্টা পুড়ে কাবাব করা হবে।এই প্রসেস চলবে টানা দুই মাস। তারপরে আবার অন্য শাস্তি। ঘোষণা শেষ হতেই ভয়ে চিৎকার শুরু করে দিল কিছু তেলতেলে চেহারার স্বাস্থবান মানুষ।অবশ্য ঘোষকের এত দেখার সময় নাই।তাদের অবস্থা এক নজর দেখেই সে আবার অন্যদের পাপ ও শাস্তি বর্ননা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে।
এই নয়া ঘোষক হঠাৎ খেয়াল করল যে কিছু মানুষ কোন শাস্তিতেই বিচলিত হচ্ছে না। শাস্তির বর্ননা এমন ভাব নিয়ে শুনছে যেন তাদের কে শাস্তির কথা বলা হল না, বলা হল তিন টাকায় নয় এমবি তিন দিন মেয়াদের খবর।
তাদের এই ধরনের নির্লিপ্ত ভাব তাকে ভীষণ ভাবে বিরক্ত করতে লাগলো। প্রথম দিন যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনেও একই কাণ্ড। কিছু লোকের যেন কিছুই যায় আসে না নরকের আগুনে পুড়তে। যেন শিঙ্গাড়ার জায়গায় পুরি দিয়েছে কেউ তাদের কে। তারা যত নির্লিপ্ত থাকে এই বেচারা তত রেগে যেতে থাকে এদের উপরে।
যাই হোক, এর মাঝে যমালয়ের হেড অফিস থেকে ফিরে আসলেন পার্মানেন্ট ঘোষক। অলটারনেটিভ ঘোষক তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় আর থাকতে পারলেন না, সিনিয়র কে জিজ্ঞাস করেই ফেললেন ওই সব মানুষদের ব্যাপারে। কারা এরা? পাপ তো একেকজনের কম না কিন্তু কোন জাদুবলে এরা একবিন্দু ঘাবড়ায় না? এক কথায় সিনিয়র বুঝে ফেললেন ছোকরা কাদের কথা বলছে। সে হেঁসে বলল, আরে এদের কথা বাদ দাও, এরা বেঁচে থাকতে এত এত বার শুনেছে এই ধরনের কথা যে এখন তাদের আর কোন প্রকার বিকার হয় না।মানুষ সকাল বিকাল এদের কানের কাছে প্রতিনিয়ত এই সব বলত, বেঁচে থাকতেই তারা এই ট্রেনিং পেয়ে গেছে। তাজ্জব হয়ে আবার জিজ্ঞাস করল জুনিয়র, কারা এরা? কি করত এরা? সিনিয়র জবাব দিলেন, এরা সব হচ্ছে ঢাকা শহরের সিটি বাসের ড্রাইভার!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫০
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×