যত দিন যাচ্ছে ততই ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম বাড়ছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হয়ত ট্রাফিক জ্যামকে আমরা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে পারব। ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম হ্রাসকরণে কিছু প্রস্তাবনা-
১/ সরকারী অফিস, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, শপিং মল, ব্যাংক ইত্যাদির সময় শিডিউলিং-উদাহারনস্বরুপ যেমন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সময়সূচী ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা, অফিস টাইম ৮ টা খেকে ৪ টা ।
২/ ঢাকা থেকে গাজীপুর, ঢাকা থেকে নারায়নগঞ্জ, ঢাকা থেকে টঙ্গী এসি ট্রেন সার্ভিস সময়মতো চলাচল এবং ভাড়া কমিয়ে দিতে হবে । এতে করে বাসের উপর চাপ কমবে।
৩/ প্রাইভেট গাড়ীর সংখ্যা কমানোর উপর জোর দিতে হবে। প্রত্যেক ব্যাংক এবং কোম্পানিতে কর্মকর্তাদের ব্যাক্তিগতভাবে গাড়ী না দিয়ে বড় কোচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪/ প্রতিটি রাস্তায় অবৈধ পার্কিং এবং স্থাপনা দূর করতে হবে।
৫/ বিআরটিএয়ের উদ্যেগে পর্যায়ক্রমে সকল ড্রাইভারকে ট্রাফিক আইন বিষয়ক বিভিন্ন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৬/ ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং ট্রাফিক কন্ট্রোলিং এর উপর বিভিন্ন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে । সাথে সাথে তাদেরেক তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনামূলক পুরস্কার সামাজিক অথবা অর্থনৈতিকভাবে দিতে হবে।
৭/ মন্ত্রী,এমপি, প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট সহ বিভিন্ন ভিআইপিদের ঢাকারা ভিতরে চলাচলের সময়সূচী যাতে ব্যস্তসময়ে না হয় সেদিকে যখাসম্ভব খেয়াল রাখতে হবে।
৮/ বিভিন্ন দফতরের হেড অফিস গুলো ঢাকার বাইরে স্থানান্তরিত করতে হবে।
৯/ ট্রাফিক ও বিআরটিএয়ের যৌথ উদ্যেগে ট্রাফিক জ্যাম হ্রাসের বিষয়ে বিভিন্ন জনসচেতনামূলক কর্মকান্ডের আয়োজন করতে পারে।
১০/ ব্যাস্ত সড়কগুলোয় রিকসা চলাচল বন্ধ করতে হবে।
আমি মনে করি এ ধরনের কিছু চিন্তা ভাবনা জাতীয়ভাবে করে একটি রূপে নিয়ে এসে বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকা শহরের ট্র্যাফিক জ্যাম অর্ধেকে নেমে আসবে।