[ব্রিটিশ গোয়েন্দা অফিসার মিঃ হামফ্রে এর ডারেরীটি (স্মরণিকা) দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় যখন জার্মানীর হস্তগত হয়; তখন জার্মান পত্রিকা ‘ইসপিগল’ তা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে। এতে ব্রিটিশদেরকে বিশ্ব সমাজের নিকট অত্যন্ত লজ্জিত হতে হয়। স্মরণিকাটি ফরাসী পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছিল। জনৈক লেবাননী বুদ্ধিজীবী কর্তৃক তা আরবী ভাষায় এবং আঞ্জুমানে জওয়ানে পাকিস্তান কর্তৃক তা’ উর্দু ভাষায় অনুবাদ করা হয়। আতœকথায় উল্লেখিত ‘মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাব’ প্রসংগটি পাঠকদের জন্য বাংলা ভাষায় অনূদিত হ’ল। আর মিঃ হামফ্রে ও ইবনে ওহাবের ভুল মন্তব্যগুলোকে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হ’ল পাঠকের কাছে।
সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ, ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে আঘাত হেনে মধ্যপ্রাচ্যে ইস্রাইলকে আসীন করে দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী সোভিয়েত ইউনিয়ন উপসাগরীয় অঞ্চলে বাহাই মতবাদীদের বসিয়েছিল। ঠিক সেভাবে সাম্রাজ্যবাদীগণ ভারতীয় উপমহাদেশে কাদিয়ানী স¤প্রদায়ের বুনিয়াদ স্থাপন করেছিল। আর সুদানে মাহ্ দিয়তের ফিৎনা দাঁড় করেছিল। বহু ভাষাবিধ মিঃ হামফ্রে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে বিশেষ করে তুরস্ক, ইরাক ও আরব দেশগুলোতে সার্থকভাবে বৃটিশ সরকারের গোয়েন্দাগিরি করেছেন। তিনি ও তাঁর সহযোগীগণ কিভাবে মুসলিম জগতে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাবের মাধ্যমে ওহাবী মতবাদের বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মিঃ হামফ্রের এ আতœকথায় তার যৎ কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাবে। কারণ মিঃ হামফ্রে তুরস্কের শায়খ আফিন্দীর নিকট ছদ্মবেশী মুসলমান
সেজে কোরআন হাদীস চর্চা করে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের একান্ত বন্ধু ও সহযোগী হয়েছিলেন।] অনুবাদক
মিঃ হামফ্রে লিখেছেন- আমি যখন তরখানের কাজে নিয়োজিত ছিলাম, তখন একজন লোকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। তিনি সেখানে যাতায়াত করতেন ও তুর্কী, ফার্সী, আরবী ভাষায় কথা বার্তা বলতেন। তিনি দ্বীনি তালেবে ইলমের পোশাক পরিধান করতেন। তাঁর নাম হল মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব। তিনি উচ্চাভিলাসী, সম্মানাকাংক্ষী, মর্যাদালোভী এবং ধোপ দুরন্ত লোক ছিলেন। উসমানী সরকারের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণা পোষণ করতেন ও সর্বদা তাঁদের সমালোচনা করতেন। কিন্তু ইরান সরকারের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিলনা। তরখান আবদুর রেয়ার সাথে তাঁর বিশেষ সম্পর্কের কারণ-উভয়েই উসমানী খলিফাকে নিজেদের পরম শক্র মনে করতেন। কিন্তু এটা অমার বোধগম্য হয়নি যে, তিনি কি কারণে আবদুর রেযা তরখানের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুললেন। অথচ একজন ছিলেন সুন্নী মতবাদের দাবীদার আর অপরজন ছিলেন শীয়া মতাবলম্বী। আমি এটাও জানতে পারিনি, তিনি ফার্সী ভাষা কোথায় শিখলেন। অবশ্য বসরায় শীয়া সুন্নীরা এক সাথে জীবন যাপন করত। উভয় স¤প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল সেখানে আরবী ফার্সী উভয় ভাষায় প্রচলন ছিল। অবশ্য তুর্কী ভাষা জানা লোকের সংখ্যাও একবারে কম ছিলনা। মুহাম্মদ ইব্নে আবদুল ওহাব স্বাধীনচেতা লোক ছিলেন। তাঁর মন শীয়া-সুন্নী পক্ষপাতিত্ব মুক্ত ছিল। অথচ সেখানকার বেশীর ভাগসুন্নীই শীয়া বিরোধী ছিলেন। আবার কোন কোন সুন্নী মুফতী শীয়াদের কাফির বলে অভিহিত করতেন। শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাবের দৃষ্টিতে হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী ও মালেকী শিক্ষা কেন্দ্রের কোনটিরই বিশেষ কোন গুরুত্ব ছিলনা। তাঁর বক্তব্য হল আল্লাহ্ তা’আলা যা-কোরআনে বলেছেন, ব্যাস, তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব কোরআন-হাদীস চর্চা করেছেন। স্বীয় অভিমতের পক্ষে ইসলামী জ্ঞান বিশারদদের মতামত প্রমাণ হিসাবে পেশ করতেন। কিন্তু কোন কোন সময় তাঁর চিন্তাধারা প্রখ্যাত আলিমদের বিপরীত অর্থে হত। তিনি কথায় কথায় বলতেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু কিতাব ও সুন্নাতকে অপরিবর্তনীয় বিধান করে আমাদের জন্য পেশ করেছেন। তিনি কখনো বলেননি যে, সাহাবায়ে কেরাম ও আইম্মায়ে দ্বীনের বর্ণনা অটল এবং অবর্তীণ ওহীব শামিল। আমাদের জন্য কিতাব ও সুন্নাতের অনুসরণ করাই শুধু ওয়াজিব। উলামা, চার ইমাম, এমনকি সাহাবাদের মতামত যাই হউক না কেন, তাঁদের ইত্তেফাক ও ইখতিলাফের দ্বারা দ্বীনকে মজবুত করা নি®প্রয়োজন। একদিন ইরান থেকে আগত জনৈক আলিমের সাথে খাবার টেবিলে তর্ক শুরু হয়ে গেল। সে আলিমের নাম ছিল শায়খ জাওয়াদ কুম্মী। তিনি আবদুর রেযা তরখানের মেহমান ছিলেন। শায়খ জাওয়াদ কুম্মীর সাথে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাবের মৌলিক মতভেদ ছিল। তাঁদের কথাবার্তা সত্বরই তিক্ততার রূপ পরিগ্রহ করল। শায়খ কুম্মী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাবকে বললেন, ‘যদি তুমি স্বাধীন চিন্তার লোক হও, নিজের দাবী অনুযায়ী ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট লেখাপড়া করে থাক, তবে কোন শীয়াদের মত হযরত আলী (রাঃ) কে সম্মান প্রদর্শন করনা? মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব উত্তরে বললেন, “হযরত উমর (রাঃ) ও অন্যান্যদের মতও তাঁদের কথা আমার কাছে প্রমাণ নয়। আমি শুধু কিতাব ও সুন্নাতকে মানি।”
কুম্মী ঃ ও আচ্ছা, তুমি যদি সুন্নাতের অনুসারী হয়ে থাক, তবে কি পয়গাম্বর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম নি যে, ‘আনা মদীনাতুল ইলমে ওয়া আলীউন বা-বুহা” “আমি ইলমের শহর আর আলী (রাঃ) এর দরজা।” এ কথা কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবাদের মধ্যে পার্থক্য করেন নি?
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব ঃ যদি ব্যাপার এ রকমই হয়, তবে পয়গাম্বর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলা উচিত ছিল। ‘আমি তোমাদের নিকট দু’টি জিনিস রেখে গেলাম-একটি কিতাব আর দ্বিতীয়টি আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ)।
কুম্মী ঃ ‘নিশ্চয়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও যথাস্থানে বলেছেন, “ইন্নি তারেকুন ফিকুমুছ ছাকালাইনে কিতাবুল্লাহে ওয়া ইত্রতী আহ্লে বায়তি”। “আমি তোমাদের মধ্যে কিতাব ও আহলি বাইতকে রেখে গেলাম।” নিশ্চয়ই আলী (রাঃ) আহলে বাইতের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব এ হাদীসকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু শায়খ উসুলে হাদীসের ভিত্তিতে হাদীসটির বিশুদ্ধতা প্রমাণ করেন। তখন মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব চুপ থাকতে বাধ্য হলেন ও নিরুত্তর রইলেন। অতঃপর বলে উঠলেন, পয়গাম্বর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি আমাদের জন্য শুধু কিতাব ও আহলে বাইত রেখে গিয়ে থাকেন, তা-হলে সুন্নাত কোথায় গেল?
কুম্মী ঃ সুন্নাত এ কিতাবের তাফসীর ও তাশরীহকে বলে, অন্য কিছুকে নয়।
মুহাম্মদ ইবনে ওহাব ঃ আপনার মতানুযায়ী ইতরত অথবা আহলে বাইতই কালামে ইলাহীর তাফসীর। তবে কেন হাদীসের ‘মতন’ বৃদ্ধি করা হল?
কুম্মী ঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত শরীফের পর উম্মতে মুহাম্মদীকে কোরআন বুঝাবার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। কেননা জনসাধারণ নিজের জীবনকে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী গঠন করতে চেয়েছিল। এ জন্য পয়গম্বর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়বী ইলমের ভিত্তিতে কিতাবে ইলাহীর মূল ধরে আর ইতরত (বংশধর) কে কোরআনের ভাষ্যকার ও কিতাবের ব্যাখ্যা ঠিক মত উম্মতের নিকট পেশ করার জন্য হাওয়ালা করেছেন। ইবনে আবদুল ওয়াহাব এরপর পিঞ্জিরবদ্ধ পাখির ন্যায় ছটফট করতে থাকেন। ইবনে আবদুল ওহাবের সাথে দীর্ঘকাল মেলা-মেশা ও দেখা সাক্ষাতে বুঝতে পারলাম যে, বৃটিশ সরকারের উদ্দেশ্যবলীকে কার্যকরী করার জন্য এ ব্যক্তি অত্যন্ত উপযোগী হবে। তবে উচ্চাভিলাষ, খ্যাতি, কামনা, অহংকার ও আতœম্ভরিতার দ্বারা উলামায়ে কেরাম, মাশায়েখে ইসলাম ও সাহাবায়ে কেরাম’ এমন কি খোলাফায়ে রাশেদীন পর্যন্ত তাঁর নগ্ন সমালোচনার লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়। কোরআন হাদীস থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভ করাই তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। আমি চিন্তা করলাম কোথায় এ অহংকারী যুবক, আর কোথায় ইস্তাম্বুলের ওই তুর্কী বৃদ্ধ, (আহমদ আফেন্দী) যাঁর চিন্তা ধারায় ও কর্মতৎপরতায় যেন হাজার বছর আগেকার লোকদের ছবি ফুটে ওঠে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে তিনি নিজের মধ্যে সামান্যতম পরিবর্তনও আনেননি। হানাফী মাযহাবের অনুসারী সে বয়োবৃদ্ধ লোকটি আবু হানীফা (রঃ) এর নাম উচ্চারণ করার আগে ওযু করে নিতেন। আহলে সুন্নাতের নিকট হাদীসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও প্রামাণিকা কিতাব সহী বোখারী অধ্যয়ন করা তিনি ফরয মনে করতেন এবং ওযু ছাড়া তিনি এ কিতাবটি স্পর্শ করতেন না। আর সম্পূর্ণ বিপরীত হল মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব। তিনি আবু হানীফা (রঃ) কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন আর তাঁকে বিশ্বস্ত মতে করতেন না। তিনি বলতেন আমি আবু হানীফার চেয়ে বেশী জানি। তিনি বলেন ঃ ‘সহী বোখারী বেহুদা কিতাব বৈ কিছু নয়’।
(১) যা’ হোক আমি ইবনে ওহাবের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে নিলাম। এতে আমাদের বন্ধুত্ব অস্বাভাবিকভাবে দৃঢ় হল। আমি বার বার তাঁকে এ কথা শুনাতাম ‘আল্লাহ আপনাকে হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত ওমর (রাঃ) এর চেয়ে বেশী উপযুক্ত করে বানিয়েছেন ও তাঁদের তুলানায় বেশী সম্মান ও সাহায্য প্রদান করছেন। আপনি যদি রাসুলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারতেন। আমি সব সময় আশা ভরা সুরে তাঁকে বলতাম, আমি চাই ইসলামে যে বিপ্লব সাধিত হবে, তা আপনার দ্বারাই সাধিত হোক। আপনি এমন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি যে, একমাত্র আপনিই ইসলামকে অবনতি হতে রক্ষা করতে পারেন, এ ব্যাপারে সকলের আশা আকাংক্ষা আপনার সাথে জড়িত। আমি ইবনে আবদুল ওহাবের সাথে ঠিক করলাম আমরা দু’জন মজলিসে বসে উলামা, মুফাসসীরীন, ধর্মীয় নেতা, মাযহাব ও সাহাবাদের থেকে ভিন্ন পন্থায় নতুন। চিন্তা ধারার ভিত্তিতে কোরআন মজীদ সম্পর্কে আলোচনা করব। আমি কোনআন পরতাম আর আয়াতের অর্থ সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতাম। আমার কর্মতৎপরতার উদ্দেশ্য ছিল, যে কোন প্রকারে তাঁকে ইংরেজ উপনিবেশবাদী সংস্থার ফাঁদে জড়িয়ে দেয়া। আমি ক্রমে ক্রমে এ উচ্চাভিলাষী আতœপূজারী লোকটিকে জড়িয়ে ফেলতে লাগলাম। এমনটি তিনি বাস্তবতার ঊর্ধ্বে স্বাধীনচেতা হওয়ার চেষ্টা করতে লাগলেন। একদিন তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম ঃ জেহাদ করা কি ওয়াজিব? তিনি বললেন-অবশ্যই। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন ‘কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর’। আমি বললাম আল্লাহ তা’লা বলেছেন কাফির ও মুনাফিক উভয়ের সাথে সাথে যুদ্ধ কর। আর কাফির ও মুনাফিকদের সাথে যুদ্ধ করা ওয়াজিব তা’হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেন মুনাফিকদের সাথে যুদ্ধ করেননি।
ইবনে আবদুল ওহাব ঃ জিহাদ শুধু যুদ্ধের ময়দানে নয়, বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ চলাফেরা কথাবার্তার দ্বারা মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন।
আমি বললাম ঃ তা’ হলে এ অবস্থায় কাফিরদের সাথেও কথাবার্তা ও চলা-ফিরার দ্বারা যুদ্ধ করা ওয়াজিব। তিনি বললেন ঃ না, পয়গাম্বর (আঃ) যুদ্ধের ময়দানেস তাদের সাথে জিহাদ করেছেন। আমি বললাম ঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফিরদের সাথে আতœরক্ষামূলক যুদ্ধ করছেন। কেননা কাফিরগণ তাঁর জানের দুশমন ছিল। ইবনে আবদুল ওহাবও এ কথার ওপর মাথা নাড়লেন। আমি বুঝতে পারলাম, আমার কাজে আমি সফল হয়েছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




